মোল্লা জসিমউদ্দিন: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে উঠে পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত মামলা। গত ভোটে সউদি আরবে বসেই রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বসিরহাটের মইনুদ্দিন গাজির বিরুদ্ধে। মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি! পরবর্তীতে মামলার পরিপেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়। কিন্তু মইনুদ্দিনের ওই আসনে এখনও ভোট হয়নি। এরফলে সারা রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোট মিটে যাওয়ার ৬ মাস পরও উত্তর ২৪ পরগনার কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করা যায়নি। এজন্য পঞ্চায়েতের দৈনন্দিন কাজকর্ম সামলাচ্ছেন বিডিও। বৃহস্পতিবার বিষয়টি শুনেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। ওই আসনে অবিলম্বে ভোট ঘোষণা করতে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিষয়টি শোনার পরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেন, “কেন এতদিন পরও ওই আসনে ভোট ঘোষণা করা হয়নি? বিডিও কেন পঞ্চায়েতের দায়িত্ব সামলাবেন? বিডিওর কাজ কি পঞ্চায়েতের দায়িত্ব সামলানো? তাঁর নিজস্ব অনেক কাজ রয়েছে। অবিলম্বে ওই আসনে ভোট গ্রহণের করতে হবে।”
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্বে মিনাখাঁর কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী মইনুদ্দিন গাজির বিরুদ্ধে মক্কায় বসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি শোনার পরে প্রথমে সিবিআই তদন্তে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। এরপর ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশ বদল করে এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হওয়ায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন ওই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করে। কিন্তু এই ঘটনার জেরে কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই আসনটিতে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া স্থগিত থেকে যায়। পঞ্চায়েত ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার ৬ মাস পরেও ওই আসনটিতে ভোটগ্রহণের জন্য রাজ্য এবং নির্বাচন কমিশন কেন কোনও সদিচ্ছা দেখাল না? তা নিয়ে এদিন রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বলে জানা গেছে।