পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: শিবসেনা থেকে বিধায়কদের ভাঙিয়ে এনেছিলেন একনাথ শিন্ডে। এমনভাবে ভাঙিয়েছিলেন, যে তাদের ওজন দলের আসল নেতা উদ্ধবের থেকেও বেশি হয়েছিল। বেশিরভাগ বিধায়ক চলে এসেছিল শিন্ডের কাছে। এরপর বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন শিন্ডে। অন্যরাও লাভবান হয়েছে। দল ভাঙানোর পরও জোর বেশি হওয়ায় নির্বাচন কমিশন শিবসেনার প্রতীক ও দলের নাম সঁপে দিয়েছিল শিন্ডের হাতে। সুপ্রিম কোর্টে গেলে মহারাষ্ট্রের স্পিকারের হাতে সমাধানের দাযিত্ব দেয় বিচারপতিরা। কিন্তু বুধবার স্পিকার রাহুল নারওয়েকার জানিয়ে দেন, ‘আসল শিবসেনার’ মালিক শিন্ডে। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে উদ্ধব গোষ্ঠী ও তাদের মুখপাত্র ‘সামনা’।
‘সামনা’য় লেখা হয়েছে, চোরের দলকে স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধানকে পদদলিত করা হয়েছে। আগে থেকেই ঠিক করা হয়েছিল স্পিকার কি সিদ্ধান্ত নেবেন। স্পিকারের সিদ্ধান্ত দিল্লিতে তার কর্তারা লিখেছিলেন। শিবসেনাকে বিশ্বাসঘাতকদের হাতে তুলে দিয়ে মহারাষ্ট্রকে ঠকানো হয়েছে। ইতিহাস তৈরি করার সুযোগ ছিল নারওয়েকারের কাছে। কিন্তু তিনি গণতন্ত্রের মুখে কালি লেপে দিয়েছেন।
উদ্ধব ঘনিষ্ঠ ও রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, ম্যাচ আগে থেকেই ফিক্স করা ছিল। সঞ্জয়ের মতে, মানুষের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হচ্ছে। নিরপেক্ষ হিসেবে বিচার করবেন নারওয়েকার বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু আদপে তিনি একনাথ শিন্ডের আইনজীবী হিসেবে কাজ করেছেন।
‘সামনা’ ও উদ্ধব গোষ্ঠীর বিধায়কদের মতে কলকাঠি নেড়েছে বিজেপি। সেই জন্যেই একনাথ শিন্ডের হাতে শিবসেনার রাশ ধরিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্পিকার।