পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সংখ্যালঘু’ তকমা ছিনিয়ে নিতে চাই কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এমনটাই জল্পনা ছিল। এবার তা অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণ করল তারা। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা জানান, ‘‘১৮৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রাক-স্বাধীনতা যুগেও জাতীয় স্তরের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল। তাই তাকে কেবলমাত্র সংখ্যালঘুদের জন্য বলা যেতে পারে না।’’ শুধু তাই নয়, আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ইউনিভার্সিটি মঞ্জুরি কমিশন ও ন্যাকের হিসেবেও ‘A+’ গ্রেড প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়টি।ফলে এমন একটি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ হওয়াই সাংবিধানিক বলে মনে করছে কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে লিখিতভাবে এমনই দাবি করল কেন্দ্র। এদিন তুষার মেহতা আরও বলেন, দেশের এবং সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার কথা মাথায় রেখে জাতীয় গুরুত্বের কোনও প্রতিষ্ঠানকে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দেওয়া যায় না। আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম বা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের বিশ্ববিদ্যালয় নয়। সেটা হলেও অসাংবিধানিক। উল্লেখ্য, মোদি সরকার শুরু থেকেই আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম তকমা ঘোচাতে সচেষ্ট। খোদ প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যোগ নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে পর্যন্ত গিয়েছেন তিনি। লালবাহাদুর শাস্ত্রীর পর মোদিই প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে গিয়েছিলেন। সেখানেও তিনি গোঁড়ামি ভুলে ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা দেন।
তবে ওয়াকিফাল মহলের মতে, জামিয়া-মিলিয়া ও আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু তকমা ঘোচাতে যেভাবে তৎপর হয়ে উঠেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার, একই ভাবে কি বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়কে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে সবধর্মের জন্য উন্মুক্ত করবেন? এটাই এখন বড় প্রশ্ন।