পুবের কলম প্রতিবেদকঃ কলকাতা পুরসভার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে খোলা হল ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনস্টিক সেন্টার। বুধবার সকাল দশটা নাগাদ বোরো ৯-এর ১৭/১, মনসাতলা লেনে এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের উদ্বোধন করেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামিমা রেহান খান, চিফ মিউনিসিপ্যাল হেলথ অফিসার ডঃ সুব্রত রায় চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
বুধবার এবিষয়ে ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামিমা রেহান খান পুবের কলমকে বলেন, জন সাধারণের সুবিধার্থে খোলা হয়েছে এই ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনস্টিক সেন্টার। স্বাস্থ্যসাথীর অর্ধেকেরও কম খরচে এখানে ২৪ ঘন্টা সিটি স্ক্যান ও এমআরআই করা যাবে। পরবর্তীকালে ডিজিটাল এক্স-রে এবং আল্ট্রাসোনোগ্রাফি পরীক্ষাও করানো যাবে। কোন পরীক্ষায় কত খরচ হবে তার তালিকা সেন্টারের দেওয়ালে টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের সুবিধার্থে।
জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথীর থেকেও ৬২ শতাংশ কম খরচে পরিষেবা পাওয়া যাবে ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় যে পরীক্ষা করাতে ২ হাজার টাকা খরচ হয় সেই পরীক্ষাই কলকাতা পৌর সংস্থার এই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করানো যাবে ৭৬০টাকায়। তবে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের থেকে কম মূল্যে এখানে পরিষেবা প্রদান করা হলেও যারা পরিষেবা নিতে আসবেন তাঁদের বাধ্যতামূলক ভাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে আসতে হবে।
এর আগে, এই ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছিলেন শহরের প্রান্তিক মানুষদেরও যথাযথ চিকিৎসা দিতে। তাঁর সেই ইচ্ছা ও চিন্তাকে বাস্তব রূপ দিতেই এই ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু করা হচ্ছে। আপাতত, শহরের প্রতিটি বোরোতে একটি করে এই ধরণের সেন্টার খোলা হবে। পরে শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডেই ফেয়ার প্রাইস ডায়াগনস্টিক সেন্টার খোলা হবে। তিনি আরও বলেন, এখন এইসব সেন্টার পরিচালনার দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার হাতে দেওয়া হলেও পরে কলকাতা পৌর সংস্থার নিজস্ব কর্মীরাই এই সেন্টারগুলি পরিচালনা করবে।