পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ‘আল্লাহর কসম খেয়ে বলছি যতদিন তৃণমূল সরকারে থাকবে ততদিন জাতি ভেদাভেদ থাকবে না’। জয়নগর প্রশাসনিক বৈঠকে মন্তব্য মমতার। মঙ্গলবার মোট ৫৪২ কোটি টাকার প্রকল্প উদ্ধোধন হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর-১ ব্লকে বিবিধ প্রকল্পের উদ্বোধন, শিলান্যাস এবং সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কি বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়— দেখে নিন এক নজরে
** আমরা যা বলি তা করি। এ বছরে কেন্দ্র থেকে ৭৬ টি টিম এসেছে। ওরা টাকা দেয় না তাও লজ্জা নেই। বলে সব গেরুয়া করতে হবে। আমি কোনও দলীয় লোগো লাগাতে বাধ্য নই। গর্ভমেন্ট অব ইন্ডিয়ার লোগো লাগাতে বাধ্য।
** আমায় একটু সময় দিন। একটা সুখবর দেব।
** ২০১১ সালের পর থেকে পঞ্চাশ লোকের বাড়ি তৈরি হয়েছে। আমরা কেন্দ্রের কাছে ২৯ হাজার কোটি টাকা পাই। ভোটের সময় ভেদাভেদ করতে আসে। তাই বাড়ি তৈরি যাদের বাকি আছে তাদেরও বাড়ি দেব টাকা পেলে।
** সুন্দরবনের মধুও জিআই ট্যাক পেয়েছে। এখানকার প্রোডাক্টের নাম দিয়েছিলাম সুন্দরিনী। জেলার মুকুটে দুটি স্বর্ণ পালক পেল। এই জেলাকে ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প দিয়ে যাচ্ছি।
** জয়নগরের বিধায়ক আমায় প্রচুর মোয়া দেয়। আমি খেলে সেগুলো মোটা হয়ে যাব। তাই বিলিয়ে দিই। বিভাস আমায় অনেক ফল পাঠায়। ওরা ভাবে সব আমি খাই। কিন্তু আমি তো একবার সকালে খাই। একটু চা খাই। আর রাতে সামান্য কিছু। এটা অনেক দিনের অভ্যাস। জয়নগরের মোয়া বিশ্ব বিখ্যাত। জিআই পেয়েছে। কারিগরদের শুভেচ্ছা। আড়াই কোটি টাকা দিয়ে জয়নগরে মোওয়া হাব হবে।
** লক্ষীর ভান্ডার সারাজীবন পাবেন। লড়াই চলবে। বিজেপির কাছে আত্মসমর্পণ করব না। মানুষের মুন্ডু নিয়ে খেলেছে সিপিএম। ভুলে গেছেন ৩৪ বছর। বামেদের সঙ্গে আপোষ নয়। বগটুইতে সিজার লিষ্ট দেয়নি সিবিআই। চিটফান্ডে অনেক অ্যারেস্ট করেছেন। মানুষের টাকা ফেরত দিলেন কী? চিটফান্ড এনেছিল কে? সিপিএম। একটাও সিপিএম অ্যারেষ্ট হয়েছে? তৃণমূলের ভয়ে কাঁপে এরা। ভাবছে সবাইকে অ্যারেষ্ট করে ভোট করবে। বিনা যুদ্ধে নাহি দিব, সূচাগ্র মেদিনী। বিজেপি ভিডিয়ো করছে। মা বোনেরা পাল্টা ভিডিয়ো করে বলুন, ওটা ফেক।’
** অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে কর্মযজ্ঞকে ‘গিমিক তৈরির চেষ্টা’ বলে আখ্যায়িত করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে এই মন্তব্য করেন তিনি। সঙ্গে ‘ঈশ্বর – আল্লাহ’এর শপথ নিয়ে বললেন, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক ভাগাভাগি হতে দেব না।
** এদিন মমতা আরও বলেন, ‘কালকে আমাকে জিজ্ঞেস করছিল। রাম মন্দির নিয়ে আপনার কী বক্তব্য? যেন আমার আর কোনও কাজ নেই। একটাই কাজ। আমি বললাম, ধর্ম যার যার নিজের। উৎসব কিন্তু সবার। আমি সেই উৎসবে বিশ্বাস করি, যে উৎসব সবাইকে নিয়ে চলে। সবাইকে নিয়ে কথা বলে। একতার কথা বলে। আপনারা করছেন করুন না, কে আপত্তি করেছে? আপনারা কোর্টের আন্ডারে করছেন, ইলেকশনের আগে একটা গিমিক শো করবেন বলে। আমার কোনও আপত্তি নেই তো। তাই বলে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষকে অবহেলা করা এটা কারও কাজ নয়’।