পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: দেশের মুসলিমরা বাবরির স্থানে রাম মন্দিরকে মেনে নিয়েছে, রাম মন্দির উদ্বোধনে তারা বেজায় খুশি। এতটাই খুশি যে মসজিদ ও দরগাহগুলিতে প্রদীপ জ্বালিয়ে দিওয়ালি উদযাপন করতে তারা প্রস্তুত, এমনটাই প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বিজেপি ও আরএসএস। আর সেটা করতে সব সীমা অতিক্রম করছে তারা।
বিজেপি ও আরএসএস তাদের সংখ্যালঘু মোর্চার সদব্যবহার করে নেওয়ার একশ শতাংশ প্রচেষ্ঠা চালাচ্ছে। দিল্লির জামা মসজিদ, নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ, কুতুব মিনার চত্বর সহ এমন ৩৬ টি ধর্মীয়স্থলে রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন প্রদীপ, আলো জ্বালিয়ে দিওয়ালি উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি ও আরএসএস।
বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার প্রধান জামাল সিদ্দিকি নিজে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। জামাল সিদ্দিকি বলেছে, ‘আমরা জামা মসজিদ, নিজামুদ্দিন দরগাহ, কুতুব মিনার এলাকা সহ দিল্লি জুড়ে ৩৬ টি দরগা এবং বিখ্যাত মসজিদগুলিতে দিওয়ালি উদযাপন করার পরিকল্পনা করেছি। এই প্রচার চলবে ১২ থেকে ২২ জানুয়ারী পর্যন্ত। আমি যখন দিল্লির বিখ্যাত মসজিদগুলিতে যাব, তখন সারা দেশের অন্যান্য মসজিদ–দরগাতেও প্রদীপ জ্বালানোর অনুষ্ঠান হবে।’
অন্যদিকে আরএসএস তাদের মুসলিম মঞ্চের সদস্যদের একত্রিত করছে। তাদের সদস্যরা পায়ে হেঁটে, সাইকেলে ও বাইকে করে রাম মন্দিরের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেবে। যেমনটা প্ল্যান করেছে আরএসএস, তাতে তাদের মুসলিম সমর্থকরা মন্দির উদ্বোধনের ঠিক পরেই অযোধ্যার রাম মন্দিরে পৌঁছাবে। মন্দির দর্শনও করবে।
বিজেপি ও আরএসএস তাদের মুসলিম সমর্থকদের ব্যবহার করছে বলে মনে করছে অনেকে। কারণ বাবরি মসজিদের আবেগ এখনও জ্যান্ত মুসলিমদের মনে। এমন একটা পরিস্থিতিতে যদি কেউ রাম মন্দির উদ্বোধনের খুশিতে মসজিদে প্রদীপ জ্বালায়, তবে সেটা নিরানব্বই শতাংশ মুসলিমকে আহত করবে। এমন পরিস্থিতিতে অপ্রিতীকর পরিস্থিতি তৈরি হলে তার দায় কে নেবে, এই প্রশ্নও উঠছে।