পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: গাজায় হামলা ও গণহত্যা চালানোর পাশাপাশি সেখান থেকে কোটি কোটি ডলারের সম্পদ লুট করে পালিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এখনও অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলের নৃশংস হামলা ও লুঠতরাজ জারি। ইসরাইলের সেনারা গাজা থেকে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের নগদ টাকা, সোনার গয়নাসহ নানা ধরনের মূল্যবান সম্পদ লুট করে দেশে নিয়ে যাচ্ছে।
গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনারা প্রায় ২৫ মিলিয়ন ডলার (২৭৩ কোটি টাকারও বেশি) মূল্যের সম্পদ লুট করেছে। গাজার মিডিয়া অফিস সূত্রে খবর, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখনও পর্যন্ত লুট করা সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২৫ মিলিয়ন ডলার। গত ৯২ দিনে ৯০ মিলিয়ন শেকেল, স্বর্ণ এবং বিভিন্ন নিদর্শন চুরি করেছে যায়নবাদী সেনা।
এ বিষয়ে সাক্ষ্য দিয়েছে গাজার বাসিন্দারা। তারা এটি পর্যবেক্ষণ করেছে ।গাজার মিডিয়া অফিস আরও জানিয়েছে, বিভিন্ন উপায়ে চুরি হয়েছে। এর মধ্যে চুরির প্রথম স্থান ছিল একটি চেকপয়েন্ট। উত্তর গাজা উপত্যকা থেকে দক্ষিণে চলে আসা বাস্তুচ্যুত লোকদের কাছ থেকে সোনা-দানা ও অর্থ ছিনিয়ে নিয়েছিল ইহুদি সেনারা।
এরই পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের ঘর-বাড়িতে জোর করে ঢুকে বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নেয় তারা। ইসরায়েলি মিডিয়া এধরনের ঘটনাকে অপরাধ হিসেবে নথিভুক্ত করলেও অভিযোগের বিষয়ে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করেনি। এদিকে, গাজায় ইসরাইলি সেনার বর্বরতার আরও ভয়াবহ নিদর্শন বিশ্বদরবারে উন্মোচিত হয়েছে।
হামাসের দাবি, গাজা নগরীর তুফা কবরস্থানেরে ১,১০০টি কবর খুঁড়ে অন্তত ১৫০টি মরদেহ চুরি করেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এর আগেও ইসরাইলি সেনা গাজার গণকবর খুঁড়ে মরদেহ থেকে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ হামাসের। গত মাসে গাজা নগরীসহ উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চল থেকে ৮০টি মরদেহ চুরি করেছিল ইসরাইল।
এদিকে, এদিকে ইসরাইলের নির্বিচার হামলায় গাজার বেশির ভাগ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। খাবারের তীব্র সংকটে দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি। ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন রোগ। এতে গাজায় মানবিক সংকট আরও গভীর হতে পারে আশঙ্কা রাষ্ট্রসংঘের। ইউনিসেফ সতর্ক করে বলেছে, সংঘাত, অপুষ্টি ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবার ঘাটতির জেরে গাজার ১১ লক্ষেরও বেশি শিশুর জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।