পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মণিপুরে সহিংসতা থামছে না। নয়া বছরের শুরুতেই হামলাকারীদের গুলিতে ৪ জন নিহত এবং অনেকেই জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। হামলার পরে পাল্টা হিংসা ছড়ায়। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। সোমবার বিকালে মণিপুরে থৌবল জেলার লিলং নুঙ্গেইতে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। আহতদের শনাক্ত করা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নতুন করে থৌবল, পূর্ব ইম্ফল, পশ্চিম ইম্ফল, কাকচিং এবং বিষ্ণুপুরে কারফিউ জারি করা হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন দলের মন্ত্রী ও বিধায়কদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন। রাজ্যবাসীর কাছে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। দোষীদের দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
থৌবাল জেলার স্থানীয়রা দাবি করেছে, সোমবার সন্ধ্যায় থাউবাল জেলার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা লিলং নুঙ্গেইতে ৪টি জিপসি করে আসা একদল দুষ্কৃতী স্বয়ংক্রিয় বন্দুক দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ৪জনকে হত্যা করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে ৪ জনের মৃত্যু হয়। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হামলার পর ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা হামলাকারীদের গাড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিন্তু দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এই হামলার পিছনে কি কারণ রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বন্দুক হাতে একদল মানুষ এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিল, কিন্তু আচমকাই ওই বন্দুকধারীরা গুলি চালাতে শুরু করে। গত শনিবার বিকেলে প্রথম পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। মণিপুর-ইম্ফল সড়কে পুলিশের কনভয়ে হামলা চালানো হয়।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং একটি ভিডিয়ো বার্তায় সহিংসতার নিন্দা করেছেন এবং জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নিরীহ মানুষ হত্যার ঘটনায় আমি গভীর দুঃখিত। অপরাধীদের ধরতে বিশেষ পুলিশ টিম মোতায়েন করা হয়েছে। লিলং-এর বাসিন্দাদের কাছে অপরাধীদের গ্রেফতারে সরকারকে সাহায্য করার জন্য আবেদন করছি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ মে মণিপুরে জাতিগত হিংসা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৮০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত এবং কয়েকশোনা মানুষ আহত হয়েছেন। গৃহহীন হয়েছে প্রায় ৬০,০০০ মণিপুরী।