পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বছরের প্রথম দিন মিমের পক্ষ থেকে একটি ভিডিয়ো নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছিলেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। সেখানে তিনি দেশের মুসলিম যুবকদের মসজিদমুখী হওয়ার পরামর্শ দেন। নাম না করে বাবরি মসজিদ কেড়ে নেওয়ার প্রসঙ্গও তোলেন ওয়াইসি। তিনি বলেন ৫০০ বছর ধরে যে মসজিদে কোরআন তেলাওয়াত করা হয়েছিল, নামাজ পড়া হয়েছিল, সেই মসজিদ কেড়ে নেওয়া হল। এসব দেখে কি দেশের মুসলিমরা আহত হন না?
এই ভিডিয়োটি শেয়ার করার পর থেকে গেরুয়াপন্থীরা ওয়াইসির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তুলছে।
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য ওই পোস্টটি শেয়ার করে বলেন, আসাদউদ্দিন ওয়াইসি যেটা ভালো করেন, সেটাই আবার করছেন। রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি শুরু করেছেন। এরপর তিনি বলেন, ২০২০ সালে হায়দরাবাদেরর ২ টি মসজিদ ভেঙে প্রশাসনিক দফতর তৈরি করা হয়েছিল। ওয়াইসি তখন সাংসদ ছিলেন। তাও কেন তিনি মুখে কুলুপ এঁটে বসেছিলেন?
একথার জবাবে ওয়াইসি মঙ্গলবার এক্সে আরও একটি পোস্ট করেন। ওয়াইসি লেখেন, যে দুটি মসজিদ বেআইনিভাবে ভাঙা হয়েছিল, সেগুলি পুর্নর্নিমাণও করা হয়েছে। ওই ঘটানার প্রতিবাদও করেছিল মিম। এমনকি মসজিদের পুর্ননির্মাণের পর উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া এটা কেবল বাবরি মসজিদের মামলা নয়, যা প্রথমে কলঙ্কিত করা হয় ১৯৪৯ এর ডিসেম্বরে। ১৯৮৬ সালে মন্দিরে পরিণত করা হয়। এরপর ১৯৯২ সালে ধ্বংস করা হয়। কাশি–মথুরাতেও তো আপনারা তাই করতে চাইছেন।
ওয়াইসি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় রয়েছে ঠিকই। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টও অভ্রান্ত নয়। বিজেপি উপাসনাস্থল আইন নিয়ে এত লজ্জায় কেন? এটা তো এদেশেরই আইন। বিজেপি কি এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করবে?
উল্লেখ্য, উপাসনাস্থল আইন অনুযায়ী ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারতের যে উপসনাস্থলের চরিত্র যা ছিল, তাকে তেমনই রাখতে হবে। জোর করে তার চরিত্র পাল্টানোর আব্দার করা যাবে না। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে বাবরির ক্ষেত্রে সেকথা খাটেনি।