পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘উত্তর পূর্ব রাজ্যগুলি নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। মণিপুর সহিংসতার ৮০ দিন পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুধু একটি শব্দ উচ্চারণ করেছিলেন। বাকি সময় তিনি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন। চলতি বছরের মে মাসে মণিপুর জাতি বিদ্বেষে উত্তপ্ত হয়েছিল। কিন্তু তিনমাসের মধ্যে কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সেই রাজ্যে যাওয়ার সময় পাননি।’ মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারকে নিশানা করে এইভাবেই ক্ষোভ উগরে দিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
দিল্লি-ভিত্তিক সাংবাদিক জর্জ কালিভায়ালিলের লেখা ”মণিপুর এফআইআর’ ‘ শিরোনামের একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এইভাবে কেন্দ্র সরকারকে কটাক্ষ করলেন বিজয়ন। এদিন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যখন প্রধান সংবাদ মাধ্যমগুলি মণিপুরের আসল খবর গুলি এড়িয়ে যাচ্ছিল, তখন সাংবাদিক কালিভায়ালিলে সেখানকার মানবিকতার বিরুদ্ধে সংঘটিত হওয়া তথ্যগুলি নথিভুক্ত করে বইয়ের আকারের প্রকাশ করেছেন।
পিনারাই বিজয়ন আরও বলেন, বিগত ৬ মাস ধরে মণিপুর বিপর্যস্ত। কিন্তু লক্ষণীয় বিষয় এটাই যে, বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম মণিপুরে যাওয়ার সময় পাইনি কিন্তু তারা ইসরাইলের যুদ্ধের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে খবর কভার করতে চলে গেছে। এর থেকেই বোঝা যায়, মিডিয়াগুলি কাদের স্বার্থে সারিবদ্ধভাবে কাজ করছে।’ বিজয়ন আরও বলেন, ‘বিরোধী দলের বরিষ্ঠ নেতারা মণিপুরে গেলেও প্রধানমন্ত্রী, কেবিনেট মন্ত্রীরা যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি।’
এদিনের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা রমেশ চেন্নিথালার হাতে বইটি তুলে দেন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পি রাজীব, দিল্লিতে কেরল সরকারের বিশেষ দূত কে ভি থমাস, সাংসদ হিবি ইডেন, এ এম আরিফ, থমাস চাজিক্কাদান, বিধায়ক টি জে বিনোদ, আনোয়ার সাদাথ, কে সি জোসেফ, রোজি এম জন এবং প্রাক্তন কূটনীতিক ভেনু রাজামানি প্রমুখ।