গাজা, ৫ জুন: প্রতিদিনই শত শত ফিলিস্তিনির লাশ জমা হচ্ছে গাজার হাসপাতালগুলিতে। হাসপাতালের মর্গে এত মৃতদেহ রাখার জায়গা নেই। এই লাশগুলিকে শনাক্ত করাও কঠিন। কারণ ইসরাইলি বোমার বিস্ফোরণে দেহগুলি জ্বলে কালো হয়ে গিয়েছে। ফিলিস্তিনিরা প্রতিদিনই চোখের সামনে এমন ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড দেখছেন। যেকোনও মুহূর্তে তাদের অবস্থাও যে এরকম হতে পারে! তাদের পালানোর কোনও পথ নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলের বিমান হামলায় অন্তত ৬৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সেখানের হাসপাতালগুলোতে আহতদের সংখ্যা উপচে পড়ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আকাশ পথে হামলার মধ্যেও গাজার মধ্যাঞ্চলের বুরেজ শরণার্থী শিবিরে স্থল হামলার পরিকল্পনা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। হতাহতের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে আল-আকসা হাসপাতালের দৃশ্য খুবই ভয়াবহ। ইসরাইলের রাতভর হামলায় আহত অনেক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হলেও সেখানে পর্যাপ্ত সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। বুধবার সকালে বুরেজ শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের ট্যাঙ্ক প্রবেশ করার পর ফিলিস্তিনিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া নারী ও শিশুরা এখন ঝুঁকিতে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসনে গৃহহীন হওয়া ফিলিস্তিনিরা মানবেতর পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছেন। সেখানে শিশুরা কখনও কখনও না খেয়েই কাটিয়ে দিচ্ছে। আবার একটি টয়লেট ব্যবহার করছেন হাজারো মানুষ। সম্প্রতি গাজার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় হামলা জোরদার করেছে ইসরাইল। এতে ‘শেষ নিরাপদ আশ্রয়স্থল’ ফেলে পালাতে হচ্ছে মানুষদের। রাষ্ট্রসংঘের ফিলিস্তিন শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র তথ্যানুযায়ী, রাফা থেকে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ পালিয়ে গেছেন।
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.21-PM.jpeg)
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.20-PM-1.jpeg)
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.20-PM.jpeg)