পারিজাত মোল্লা: কেউ অসুস্থতা বোঝানোর জন্য এনেছেন প্রেসক্রিপশন সঙ্গে ওষুধ। আবার কেউ নিজেকে মানসিক রোগী বলছেন, যাতে তাকে চাপ না দেওয়া হয়। আবার কেউ এসেছেন কোর্টে ‘হাজিরা’ দিতে হবে বলে। কেউ আবার অনাদায়ী ঋণ কর্তপক্ষের বিরুদ্ধে মামলার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। আবার অপরদিকে ঋণ না মেটালে ব্যাঙ্ক দ্বারা রেকর্ড খারাপ হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন কেউ কেউ। এই বিধ নানান ঘটনার সাক্ষী হাওড়া জেলা লোক আদালতের ১০ নং বেঞ্চ। যদিও এই বেঞ্চ অত্যন্ত মানবিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক ম্যানেজারদের সহমতে ১৬টির মধ্যে ১৫টি মামলার নিস্পত্তি ঘটিয়েছে।
শনিবার সারাদেশ জুড়ে চলে জাতীয় লোক আদালত। এদিন হাওড়া জেলা আদালতে সাড়ে ৫ কোটি টাকার অনাদায়ী ঋণ মামলার নিস্পত্তি ঘটল। হাওড়া জেলা দায়রা বিচারক তথা জেলা আইনি পরিষেবা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান গোপাল চন্দ্র কর্মকারের নেতৃত্বে জেলা আইনী পরিষেবা কেন্দ্রের সচিব সুপর্ণা সরকারের পরিচালনায় এই বিশেষ লোক আদালত শিবিরটি হয়।
হাওড়া জেলা আইনি পরিষেবা কেন্দ্রের অফিস মাস্টার প্রসেনজিৎ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ‘এদিন ১৫৮৬টি অভিযোগের মধ্যে ৯০০টির মত নিস্পত্তি ঘটেছে। ট্রাফিকের অনাদায়ী জরিমানা আদায়ের জন্য মোবাইল ভ্যানে এক বিশেষ শিবিরও হয় এদিন”। এদিন ১৪টি মত এই জেলা আদালতে বেঞ্চ শুনানির জন্য দিনভর বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ব্যাঙ্ক, ইন্সুইরেন্স কোম্পানি, বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা ছিলেন।
শনিবার হাওড়া জেলা আদালতে ১০ নং বেঞ্চে শ্রীমতী সমতা দাস ( বিচারক), অশোক সাহা (আইনজীবী)এবং মোল্লা জসিমউদ্দিন (সমাজসেবী) দের নিয়ে গঠিত বেঞ্চে ১৬টি মামলার মধ্যে ১৫ টি নিস্পত্তি ঘটে।
দীর্ঘদিনের অনাদায়ী ঋণ মামলার নিস্পত্তির জন্য পশ্চিমবঙ্গ গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজাররা খুবই আন্তরিক ছিলেন বলে জানা গেছে।