পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: বারবার সাবধান করার পরও হুঁশ ফেরেনি সরকারের। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নেমে যদি কেউ মারা যায়, তবে তার দায় নিতে হবে সরকারকে। এমন কাজ করতে গিয়ে মৃত্য হলে ক্ষতিপূরণ হিসবে দিতে হবে ৩০ লক্ষ টাকা। শারিরীক অক্ষমতায় ২০ লক্ষ টাকা, আঘাতের ক্ষেত্রে ১০ লক্ষ টাকা। কিন্তু তারপরও পাল্টালোনা চিত্র।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নতুন করে সুরাটের পালসানা এলাকায় সেপটিক ট্যাঙ্কের নোংরা পরিস্কার করতে নেমে মৃত্যু হল ৪ শ্রমিকের। এই চারজন শ্রমিকেরই বাড়ি বিহারে। পালসানার একটি ফ্যাক্টরিতে ঘটনাটি ঘটে।
প্রথমে দু’জন শ্রমিক সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করতে নামেন। দমবন্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়। এরপর ওই দু’জনকে বাঁচাতে আরও দুই শ্রমিক এগিয়ে যান। বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু হয় ওই দু’জনেরও। তাদের চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
দ্য প্রোহিবিশন অফ এমপ্লয়মেন্ট অ্যাস ম্যানুয়াল স্ক্যাভেঞ্জার্স অ্যান্ড দেয়ার রিহ্যাবিলিটেশন অ্যাক্ট, ২০১৩ অনুযায়ী প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা ছাড়া নর্দমা পরিষ্কারের কাজ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তারপরও এই বিষয়ে গা ছাড়া মনোভাব দেখা যাচ্ছে। রোবটের পরিবর্তে শ্রমিকদের নর্দমায় নামিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। গত ৫ বছরে এমন কাজে নেমে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪৬ জনেরও বেশি সাফাইকর্মী। মনে করা হচ্ছিল, সুপ্রিম কোর্টের মোটা অঙ্কের জরিমানার নির্দেশের পর এই প্রবণতা কমবে। কিন্তু তারপরও ডবল ইঞ্জিন গুজরাতে আরও ৪ শ্রমিকের মৃত্যু প্রমাণ করল, শীর্ষ কোর্টের নির্দেশের পরেও চোখ খোলেনি সরকারের।