পারিজাত মোল্লাঃ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চে গ্রুপ ডি নিয়োগ মামলায় বড়সড় নির্দেশ জারি করা হল।
এদিন গ্রুপ ডি তে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তাঁদের স্কুলে ঢুকতে দেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে আদেশনামায়। নির্দেশে রয়েছে, ‘ বরখাস্তদের বেতনও বন্ধ থাকবে, এমনকি যে বেতন এতদিন পেয়েছেন, সেই টাকাও ফেরত দিতে হবে মাসে মাসে বলে সিঙ্গেল বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আরও নির্দেশ, প্রয়োজনে হেফাজতে নিয়ে তাঁদের জেরাও করবে সিবিআই। আদালতের নির্দেশ ছাড়া তাঁদের কোনও পরীক্ষায় কাজে লাগানো যাবে না’।
হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ জানিয়েছে, এঁদের আগে আদালত নিজে থেকে চাকরি ছাড়ার সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সেটা করেনি।’ এর পাশাপাশি এদিন আদালত জানায়, -‘আগের যে ৬০৯ জনের চাকরি গিয়েছিল গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে, তাঁদের জায়গায় নতুনদের চাকরি দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করবে এসএসসি’।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গেই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করে নিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, -‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করবে’। শুধু তাই নয়, এই মামলায় এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
বিচারপতি এদিন মামলার শুনানি পর্বে বলেন, আদালতে সুবীরেশ জানাবেন কার নির্দেশে তিনি অযোগ্য প্রার্থীদের সুপারিশপত্র দিয়েছিলেন।
কেন এই জালিয়াতি করেছিলেন, যদি সুবীরেশ ভট্টাচার্য কিছু না জানান, তবে ধরে নেওয়া হবে তিনিই এই দুর্নীতির মাথায় ছিলেন। যতদিন না তিনি এই মামলা থেকে নিষ্পত্তি পাচ্ছেন ততদিন সুবীরেশ তাঁর মাস্টার ডিগ্রি ও পিএইচডি ডিগ্রি ব্যবহার করতে পারবেন না’।
বিচারপতি আরও জানিয়েছেন এজলাসে , -‘পারিবারিক নিরাপত্তার কারণে সুবীরেশ যদি আদালতের কাছে মুখ খোলার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্থ হন বা যদি কোনও ভয় থাকে তবে সেটাও দেখবে আদালত। আদালতের নির্দেশে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে’। এখন দেখার বিচারপতির এহেন আহবানে সাড়া দেন কিনা সুবীরেশ?