পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: গত মে মাস থেকে জাতি হিংসায় ছারখার মণিপুর। তুই না মুই দ্বন্দ্বে রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা শিকেয় তুলেছিল রাজ্যের মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়। হিংসা, রক্ত, মৃত্যু, দ্বেষ। গত কয়েক মাসে চরমে উঠেছে মণিপুরের পরিস্থিতি। জাতি হিংসার নামে চলেছে মারাত্মক অত্যাচার। বিনা দোষে এক এক করে প্রাণ গেছে ১৭৫ জনের। নিখোঁজ ৩৩। আহত গণনাতীত।
শুক্রবার মণিপুর পুলিশের তরফে প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে, গত সাড়ে চার মাসের জাতি-হিংসার কবলে মৃত্যুর সংখ্যা ১৭৫ ছুঁয়েছে। এর মধ্যে ৯৬ জন নিহতের দেহ এখনও অশানাক্ত। আহত ১,১১৮। গোষ্ঠীহিংসা কবলিত এলাকাগুলি থেকে নিখোঁজ হয়েছেন ৩৩ জন।
গোষ্ঠীহিংসার ঘটনায় মোট ৫১৭২টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশি রিপোর্টে দাবি। এর মধ্যে ৪৭৮৬টি বাড়ি এবং দফতরের পাশাপাশি ৩৮৬টি ধর্মস্থান রয়েছে। পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর তল্লাশি অভিযানে ৩৬০টি বাঙ্কার ধ্বংস করা হয়েছে বলে পুলিশ রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সব থেকে বেশি মৃতদেহ পড়ে আছে চুড়াচাঁদপুর জেলা হাসপাতালের মর্গে। সেখানেই আছে ৪২টি দেহ। এছাড়া ইম্ফলের একটি মর্গে ২৮ টি এবং জওহরলাল নেহেরু ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে আছে ২৬ টি মৃতদেহ। পুলিশের একাংশের মতে, মৃতদেহগুলির মধ্যে বেশ কয়েকজন বিচ্ছিন্নতাবাদীও রয়েছে। মূলত মায়ানমার থেকে মণিপুরে এসেছে তারা। তাদের দেহগুলি নিতেও কেউ আসছে না।
সেই মে মাস থেকে জাতি হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। রাজ্যের মর্গগুলিতে পচছে অজ্ঞাতপরিচয় বহু দেহ। তাঁদের শনাক্ত করার লোক পর্যন্ত নেই। সৎকার তো দূরের কথা। মণিপুর কি ক্রমশ মৃতদের দেশে পরিণত হচ্ছে, উঠেছে প্রশ্ন।