পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: কাশ্মীর মানেই সমতলের মানুষের কাছে অপরূপ ‘সৌন্দর্য’ এবং ‘সন্ত্রাসবাস’-এর মেলবন্ধন। ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের সময় কেন্দ্র বলেছিল বহু ক্ষেত্রেই পিছিয়ে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর। যদিও বাস্তবতা ছিল ভিন্ন। অর্থনীতি থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য- পরিষেবা সব দিক থেকেই কাশ্মীর এগিয়ে ছিল গুজরাতের থেকে। তার পরেও কাশ্মীরকে লাগাতার ‘পিছিয়ে থাকা’ রাজ্য বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। কাশ্মীর যে শিক্ষায় সত্যিই এগিয়ে রয়েছে নতুন করে তা আবারও প্রমাণিত হল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীর তালিকা সেই কথাটি ‘চোখে আঙুল’ দিয়ে আরও একাবার দেখিয়ে দিল। জানা গেছে, ঐতিহ্যশালী স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে নানা শাখায়, বিশ্বের সেরা ২ শতাংশ বৈজ্ঞানিকদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে সম্প্রতি। বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের সেই তালিকায় নাম রয়েছে ‘ভূস্বর্গ’-এর ১১ অধ্যাপকের নাম। সকলেই কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত।
এক বিবৃতিতে, কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক নিলোফার খান জানান, শুধু কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় নয় সংশ্লিষ্ট রাজ্যের কাছে এই বিষয়টি গর্বের। তিনি আরও বলেন, কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয় শুধুমাত্র ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক র্যাঙ্কিংয়ে ৩৩ তম স্থান অধিকার করেনি, ঐতিহ্যপূর্ণ স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়েও আলাদা করে নাম তুলেছে। ২০২২ সালেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বসেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় নাম নথিভুক্ত করেছিল। সংখ্যাটা তখন ৯ ছিল। এখন ১১-তে উন্নীত হয়েছে। এই বিশ্বসেরা খেতাব অর্জনকারী মুসলিম বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন: অধ্যাপক ফারুক আহমদ মাসুদী, অধ্যাপক শাকিল আহমদ রমশু, অধ্যাপক মঞ্জুর আহমদ শাহ, অধ্যাপক গোলাম জিলানী, ডক্টর আদিল গণি, ডক্টর ইদ্রিস আহমেদ ওয়ানি, ডক্টর শাবির আহমদ পারাহ, ডক্টর ইমতিয়াজ আহমেদ, ডক্টর শেখ ফাহিম। ডাঃ মনজুর আহমদ মীর এবং ডাঃ ফিরদৌস আহমদ শাহ। ঘটনাপ্রসঙ্গে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, ডঃ নিসার এ মীর বলেন, কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সাফল্যে আমি গর্বিত। ভবিষ্যতে অত্যাধুনিক গবেষণা এবং অ্যাকাডেমিক শ্রেষ্ঠত্বের ওপর আরও নজর দেব আমরা। বিশ্ব মঞ্চে কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কৃতিত্ব শুধুমাত্র রাজ্যের জন্য নয় সমগ্র দেশের জন্য একটা গর্বের বিষয়। সূত্রের খবর, যে যে বিষয়গুলির উপর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানীদের নির্বাচন করেছে সেগুলি হল বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গবেষকদের মান, গবেষণাপত্রে অংশগ্রহণ, লেখক হিসেবে মেধাতালিকায় কত নম্বরে নাম রয়েছে, গবেষণাপত্রের ‘সাইটেশন’ এবং ‘এইচ-ইন্ডেক্স’।