শুভজিৎ দেবনাথ: শ্রাবণী মেলা উপলক্ষে শিবের মাথায় জল ঢালতে শীতল কুচি থেকে ময়নাগুড়ি জল্পেশ মন্দিরে জল ঢালতে যাচ্ছিলেন একটি পিকআপ ভ্যান ভর্তি তীর্থযাত্রীরা। পথেই রাত ১২ টা নাগাদ কোচবিহার জেলার চ্যাংড়াবান্ধায় ধরলা সেতু সংলগ্ন এলাকায় চলন্ত পিকআপ ভ্যানটি আচমকাই শর্ট সার্কিট হয়। তাতে দশ জন তীর্থযাত্রীর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, তাদের সকলের বাড়ি কোচবিহার জেলার শীতলকুচিতে। সূত্রের খবর, শর্ট সার্কিট হয়েই অসুস্থ হয়ে পড়ে পিকআপে থাকা সকলেই তারমধ্যে দশজনের ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। আহত হয়েছে ১৬ জন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, জেনারেটর চালিয়ে গাড়িতে সাউন্ড বক্স বাজানো হচ্ছিল। সেই জেনারেটরের তারেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন পুণ্যার্থীরা। পিক আপ ভ্যানের চালক পলাতক। মৃতদের বাড়ি কোচবিহার জেলার শীতলকুচিতে। ১৬ জনকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চ্যাংড়াবান্ধা ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে চিকিৎসা চলে। পরে আহত দের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এই বিষয়ে মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মা বলেন, শীতলকুচি থেকে ২৫ জন তীর্থযাত্রীর একটি দল জল্পেশের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল চ্যাংড়াবান্ধা ধরলা সেতুর কাছে তাদের পিকআপ ভ্যানটি আসতেই এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন অসুস্থ বোধ করে।
গাড়ি চালক তড়িঘড়ি তাদের চ্যাংড়াবান্ধা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা এদের মধ্যে ১০ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বাকি গাড়িতে থাকা ১৪ জনের জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্ত করা হবে। সেই সঙ্গে আহতদের বয়ান নেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, গাড়িতে থাকা জেনারেটর থেকে শর্ট সার্কিট হয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে দশজনের। ঘটনা তদন্ত শুরু হয়েছে।