পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কাবুল বিমাবন্দরে গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছে বলে খবর। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। তবে এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা জড়িত সেই সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। আফগানিস্তানে রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে এক নিরাপত্তারক্ষী নিহত হয়েছেন। সোমবারের ঘটনা। জার্মান সেনাবাহিনী ট্যুইট থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স-এর তরফে এই খবর প্রকাশ্যে আসে। বিমানবন্দরের উত্তর গেটে আফগান নিরাপত্তারক্ষী ও পশ্চিমা সেনা সদস্যদের সঙ্গে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন বন্দুকধারীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে এক আফগান নিরাপত্তারক্ষী নিহত এবং তিনজন আহত হন। তবে এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা জড়িত সেই সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে দেশ ছাড়তে মরিয়া যাত্রীদের ভিড়ে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় রবিবার পর্যন্ত সাতজন নিহত হয়েছে। ন্যাটোর মুখপাত্র জানিয়েছেন, সাতদিনে বিমানবন্দরে মৃত্যুর সংখ্যা ২০। রবিবার ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ’ওই স্থানের পরিস্থিতি বর্তমানে প্রচণ্ড চ্যালেঞ্জপূর্ণ কিন্তু পরিস্থিতি শান্ত ও নিরাপদ করতে আমরা আমাদের সাধ্যমত সব ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
এর আগে গত ১৫ আগস্ট তালিবানের কাবুল নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর আফগানিস্তান ত্যাগ করতে ইচ্ছুক বিপুল আফগান নাগরিক হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে জড়ো হন। অনেকেই জায়গা না পেয়ে মরিয়া হয়ে বিমানের দরজা– চাকা ও বাইরের বর্ধিত অংশে করে কাবুল ছাড়ার চেষ্টা করেন।
বিমানের বাইরের বর্ধিত অংশে থাকা বেশ কিছু যাত্রীর উড়ন্ত বিমান থেকে পড়ে মারা যাওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোমাধ্যম ছড়িয়ে পড়েছে।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার জেরে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায় মার্কিন বাহিনী। অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রসজ্জ্বিত মার্কিন সৈন্যদের হামলায় আফগানিস্তানের তৎকালীন তালিবান সরকার পিছু হটে।
তবে একটানা দুই দশক যুদ্ধ চলে দেশটিতে। দীর্ঘ দুই দশক আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পর ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারের দোহায় এক শান্তিচুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করতে সম্মত হয় যুক্তরাষ্ট্র। এর বিপরীতে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অংশ নিতে তালিবান সম্মত হয়।
এই বছরের মে মাসে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এপ্রিলে এক ঘোষণায় ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা জানান। পরে জুলাই সময়সীমা আরও কমিয়ে এনে ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা করেন তিনি।
.