যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন। বাংলা এই চিরপরিচিত প্রবাদটি তাঁর হাত ধরেই বারবার সত্যি প্রমাণিত হয়েছে। রাজনীতির পাশাপাশি তার বহুমুখী প্রতিভা বরাবরই চর্চার বিষয় হয়ে থেকেছে। তিনি ছবি আঁকেন, তিনি গান লেখেন, তিনি সুর করেন। এহেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যবাসী বুধবার নতুন ভূমিকায় দেখল। এবার তিনি গায়ক মমতা। তবে কোরাসে গলা মেলানো নয়, দেখা গেল গায়িকার ভূমিকায়। সত্য প্রকাশিত জননী অ্যালবামে জয়ন্তী মঙ্গলা কালী গানটি গেয়েছেন মমতাই। অবশ্যই সেখানে তার সহায়ক হিসাবে ছিলেন নচিকেতা এবং ইন্দ্রনীল।
প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও মহালয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা এবং সুরে অ্যালবাম প্রকাশিত হল। সেই অ্যালবামে মোট আটটি গান রয়েছে। যেগুলি গেয়েছেন, নচিকেতা, রূপঙ্কর, মনোময় শ্রীরাধা দেবজ্যোতি তৃষা এবং ইন্দ্রনীলের মতো প্রথিতযশা শিল্পীরা। তারমধ্যে থাকছে অবশ্যই সেরা আকর্ষণ হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান। সমাজকে উন্নত করতে নারীশক্তি অন্যতম মাধ্যম বলে করেন বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ভোটের প্রচার থেকে সরকারি প্রকল্প- সব ক্ষেত্রেই মা-বোনেদের উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছেন তিনি। দেবী দুর্গা নারীশক্তির অন্যতম প্রতিরূপ। তাই দেবী দুর্গার আবাহন-লগ্নে প্রকাশিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম গানের অ্যালবামের মূল থিম, নারীশক্তি। অ্যালবামের প্রতিটি গানেই ঘুরে-ফিরে এসেছে নারীশক্তির কথা। বাংলার মা-বোনেদের আর্থিকভাবে আত্মনির্ভরশীল করার লক্ষ্যে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের সূচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অ্যালবামের গানের মধ্যে সেই বিষয়টিও উঠে এসেছে।
কবি, চিত্রশিল্পী হিসাবে আগেই খ্যাতি অর্জন করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বিভিন্ন বিষয়ের উপর বই লিখেছেন, কবিতা লিখেছেন, ছড়া লিখেছেন। যা আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় বিক্রিও হয়েছে। তাঁর আঁকা ছবিও মোটা টাকায় নিলাম হতে দেখা গিয়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে আমরা গানের ছন্দে গলা মেলাতে দেখেছি। অনেক গান লিখেছেন এবং সুরও দিয়েছেন তিনি। প্রতি বছর দক্ষিণ কলকাতায় রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আয়োজিত দুর্গাপুজোর ‘থিম সং’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তৈরি করে দিয়েছেন। এবার নিজেই নিজের লেখা ও সুর দেওয়া গানে কণ্ঠ গিয়ে রেকর্ড করলেন তিনি। যা শুনতে পাবেন আপামর বঙ্গবাসী।