পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : জল্পনা ছিল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অযোধ্যা থেকে লড়তে পারেন। কিন্তু সেই জল্পনায় জল পড়ল শনিবার। উত্তপ্রদেশ ভোটের জন্য প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। তাতে যোগীকে দেওয়া হয়েছে গোরক্ষপুর(Gorakhpur) শহর বিধানসভা আসন।উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অযোধ্যা থেকে লড়তে পারেন। কিন্তু সেই জল্পনায় জল পড়ল শনিবার। উত্তপ্রদেশ ভোটের জন্য প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি। তাতে যোগীকে দেওয়া হয়েছে গোরক্ষপুর শহর বিধানসভা আসন।
এদিন ১০৭টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছেন বিজেপি নেতা ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাতে দেখা গিয়েছে ৬৩ জন বিদায়ী বিধায়ক টিকিট পেয়েছেন। বেশ কয়েকজন জেতা বিধায়ককে এবার টিকিট দেওয়া হয়নি। এই তালিকায় সেইরকম সংখ্যা ১৪।এদিনের তালিকায় দেখা যাচ্ছে বিদায়ী মন্ত্রিসভার উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যকে টিকিট দিয়েছে বিজেপি। তিনি লড়ছেন প্রয়াগরাজের পাশে সিরাথু কেন্দ্র থেকে।
প্রসঙ্গত, যোগী এবং কেশব দু’জনেই বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ আইনসভার উচ্চকক্ষ বিধান পরিষদের সদস্য। যোগী এ বারই প্রথম বিধানসভা ভোটে লড়বেন। প্রসঙ্গত, পূর্ব উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ১৯৯৮-২০১৪ টানা পাঁচ বার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন যোগী। বিজেপি-র প্রার্থীতালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন জিএস ধর্মেশ, সন্দীপ সিং, গুলাব দেবীর মতো মন্ত্রী এবং মুজফ্ফরনগর গোষ্ঠীহিংসার ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত ‘বাহুবলী’ নেতা সঙ্গীত সোম।
এই ১০৭ প্রার্থীর ৬০ শতাংশ দলিত এবং অন্যান্য অনুন্নত বা ওবিসি সম্প্রদায়ের। গত কয়েকদিনে মন্ত্রী, বিধায়ক মিলিয়ে বিজেপির বেশ কয়েকজন দলিত এবং ওবিসি নেতা দল ছেড়েছেন। তাঁরা হাত মিলিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে।
১৯৯৮ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে গোরক্ষপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদ হয়েছিলেন আদিত্যনাথ। টানা পাঁচবার গোরক্ষপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জেতেন তিনি। এরপর ২০১৭ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের পর যোগী আদিত্যনাথকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করে দল। সাংসদ পদ ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রী হন আদিত্যনাথ। ২০১৯ লোকসভায় যোগী আদিত্যনাথের জায়গায় বিজেপি প্রার্থী হয়ে বড় জয় পান চিত্রতারকা রবি কিষাণ। যদিও ২০১৮ লোকসভা উপনির্বাচনে এখানে হেরে গিয়েছিল বিজেপি। তবে গোরক্ষপুরের দুটি বিধানসভা কেন্দ্রেই বিজেপি এখনও পর্যন্ত অপরাজিত।