পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: হিন্দু শাস্ত্রে আট প্রকার বিবাহের রীতি রয়েছে। তার মধ্যে কোথাও ‘পাকড়াও শাদির’ অস্তিত্ব না থাকলেও বিহারে বহুকাল ধরেই এই বিবাহ চলে আসছে। এটি মনুসংহিতা বর্ণিত রাক্ষস বিবাহের উলটো।
“কন্যাপক্ষের লোকদের আহত, হত্যা কিংবা তাদের বাসস্থান আক্রমণ করে ক্রন্দনরত কন্যাকে বলপূর্বক হরণ করে যে বিয়ে হয় তাকে রাক্ষস বিবাহ বলে।অন্যদিকে ক্রন্দনরত পুরুষকে বলপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে কন্যাপক্ষের লোকেরা যে বিয়ে দেয় বিহারে তা পরিচিত ‘পাকড়াও শাদি’ নামে। একদিকে জামাইকে ধরে বেঁধে এনে ‘কন্যাদায়গ্রস্ত’ বাবা হাঁপ ছেড়ে বাঁচেন। অন্যদিকে রাতের ঘুম উড়ে তথাকথিত ‘এলিজেবল ব্যাচেলর’দের। সম্প্রতি বিহারে এমনই এক বিয়ের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে।যাতে দেখা যাচ্ছে, ভিড়ের মাঝে এক শিক্ষক কাঁদো কাঁদো মুখে আর্জি জানাচ্ছেন, তাঁকে মেরে ফেলা হোক, কিন্তু বিয়ে যেন না দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষকের এই আকুতি-মিনতি কারোর কর্নপাত হচ্ছে না। জোর করে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল জোরকদমে।বিহারে ‘পকড়োয়া শাদি’র ঘটনা আবার প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, যুবকের নাম মুকেশ কুমার বর্মা।সম্প্রতি সরকারি চাকরি পায় সে। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই পাশের গ্রাম থেকে এক তরুণীর পরিবারের সদস্যরা ওই যুবকের বাড়িতে চড়াও হয়।অভিযোগ, তার পর জোর করে তুলে নিয়ে যায় তাঁকে। মুকেশকে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় মন্দিরে। সেখানে আগে থেকেই বিয়ের সমস্ত বন্দোবস্ত করে রাখা হয়েছিল। পাত্রীকেও হাজির করানো হয়। এহেন কাণ্ড দেখে কান্নায় ভেঙে পরে মুকেশ।জোর করে বিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের।
তরুণীর দাবি, ২০১৫ সাল থেকে মুকেশের সঙ্গে প্রণয়ঘটিত সম্পর্ক রয়েছে তাঁদের। তবে সরকারি চাকরি পেতেই রূপ বদলায় মুকেশ। বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। মুকেশের সঙ্গে তাঁর একটি ছবিও দেখান তরুণী। যদিও মুকেশের পাল্টা দাবি, এটি ভুয়ো। এই ছবি দেখিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে।