ওবাইদুল্লা লস্কর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মগরাহাট ২ নম্বর ব্লকের মগরাহাট মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের করিমাবাদ এলাকায় বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হয়। স্থানীয় প্রসূতি মায়েদর নিয়ে দিনটি পালন করা হয়।গর্ভবতী,প্রসূতি মাকে এই অবস্থায় শারীরিক কি কি পরিশ্রম করতে হয়, তাঁদের মানসিক অবস্থা কেমন থাকে চিকিৎসকরা জানতে চান তাও । এই সময়ে, প্রসূতি মায়েদর কেমন চলাফেরা করা দরকার সেবিষয় গুলি তুলে ধরা হয় – শুধুমাত্র পুষ্টির উৎস নয়, শিশুর স্বাস্থ্যের পক্ষেও প্রয়োজনীয়, তেমনই মায়ের শরীরের পক্ষেও সমান উপকারী। জন্মের প্রথম ৬ মাস শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের দুধই খাওয়ানো উচিত। তার কারন মায়ের দুধ তাড়াতাড়ি হজম হয় এবং এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় না। এ ছাড়াও এই দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। অন্যান্য প্যাকেট জাত দুধে অনেক শিশুর অ্যালার্জি হয়, হজম হয় না। তুলনায় মাতৃদুগ্ধ ১০০ শতাংশ নিরাপদ।
শৈশবে লিউকোমিয়া হওয়া থেকে মায়ের দুধ রক্ষা করে। বড় বয়সে ডায়াবিটিস টাইপ ১ এবং উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার আশঙ্কাও কম থাকে যে শিশুরা নিয়মিত মাতৃদুগ্ধ খায় তাদের।
মাতৃ দুগ্ধে শিশুর বুদ্ধি বাড়ে।প্রথমত শিশুর সঙ্গে মায়ের একটা বন্ধন তৈরি হয় এবং দ্বিতীয়ত মাতৃ দুগ্ধে এমন সব ফ্যাটি এসিড থাকে যা শিশুর মগজের বৃদ্ধি ঘটাতে সহায়তা করে।
মায়ের দুধ খাওয়ানোর কোনও খরচ নেই। তা ছাড়া শিশুর সঙ্গে মায়ের মানসিক মিলন ঘটায় এবং মায়ের শারীরিক ছোঁয়াতে শিশু আরাম বোধ করে।
গর্ভবতী মায়েরা ওই সময়ে যেমন ভারী কাজ, অহেতুক বিপদ মুখী, বিশৃংখল কাজ করার ক্ষেত্রে ঝুঁকির তেমনি হিংসা, হতাশা, কান্না কাটি , গর্ভাবস্থায় শিশুর ওপর প্রভাব ফেলে। অপুষ্টি, বিকলাঙ্গ, অপরিণত মস্তিষ্ক শিশুর জন্ম হতে পারে। পরে ওই শিশুর শারীরিক সঞ্চালন, মানসিক, বৌদ্ধিক বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বাধা প্রাপ্ত হয়। এমন আলোচনার পরে নিয়মিত খাদ্য তালিকা কেমন হওয়া উচিত ইত্যাদি বিষয়ে অঙ্গনওয়ারী দিদিরা পরামর্শ দেন।