কৌশিক সালুই বীরভূম :-লোহার প্লেট বসিয়ে মেরামতির দিন কয়েক পরেই ফের বেহাল রানীগঞ্জ মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দ্বারকা নদীর ডেউচা ব্রিজ। বিপদজনক ভাবে সরে গিয়েছে প্লেট গুলি। যেকোনো সময়ই বড় বিপদ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। তবে সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। ইতিমধ্যেই মেরামতের জন্য বরাদ্দ চলে এসেছে। চলছে টেন্ডারের প্রক্রিয়া। আগামী মার্চে শুরু হয়ে যাবে সেই সংস্কারের কাজ।
মহম্মদ বাজার থানার ডেউচার দ্বারকা নদীর উপর সেতুটি লোহার প্লেট দিয়ে বিগত বছরের অক্টোবর মাসে সংস্কার হয়েছিল। কিন্তু তা কিছুদিনের মধ্যেই সেতুর উপর বসানো লোহার প্লেট গুলি বিপজ্জনকভাবে সরে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় গোটা ত্রিশটি প্লেট সেখান থেকে সরিয়ে রেখেছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। এছাড়া কয়েকটি প্লেট বিপজ্জনকভাবে সেতুর ওপর পড়ে আছে। আর ওই অবস্থাতেই চলছে যানবাহন। যাতায়াতকারী মানুষজনের দাবি যেকোনো সময় বড় বিপদ ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জাতীয় শোক কর্তৃপক্ষের দাবি অতিরিক্ত ভারী যান চলাচলের জন্য এই সমস্যা হয়েছে। তবে এই সমস্যার দ্রুত স্থায়ী সমাধান হতে চলেছে। ব্রিজের কাঠামো একই রেখে উপরের ঢালাই ভেঙে দিয়ে সম্পূর্ণ হবে সেখানে নতুন করে ঢালাই করা হবে। এর জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ কোটি দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। বর্তমানে তার টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। আগামী মার্চ মাসের সেই কাজ শুরু হবে।
প্রসঙ্গত ২০২০ সালে প্রথমে ফেব্রুয়ারি মাসে এবং পরে অক্টোবর মাসে দুবার সেতুর উপর ফাটল দেখা দেয় সেই সময় প্রাথমিকভাবে মেরামত করা হয়েছিল। যদিও সেই মেরামতি পর্যাপ্ত ছিল না এবং পরবর্তী সময়ে আবার তা ভাঙতে শুরু করে। দ্বারকা নদীর উপর ১৯৫২সালে জলাধার সহ সেতুটি জেসপ কোম্পানি নির্মাণ করে।উত্তরবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ বঙ্গের যোগাযোগের এটি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সেতু। এছাড়া সামরিক দিক থেকেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি। বিশেষজ্ঞদের দাবি যেকোনো ধরনের কংক্রিট ঢালাই সচরাচর ৫০ বছর মজবুত থাকে। তারপর তার আয়ু শেষ হয়ে যায়। এই সেতুর বয়স বর্তমানে ৭০ বছর। ফলে বহু আগেই এই সেতুর বিকল্প সেতু তৈরি করা উচিত ছিল জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের। বীরভূমের জাতীয় সড়কের ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার জয়ন্ত গড়াই বলেন,” সম্প্রতি লোহার প্লেট বসিয়ে মেরামত করা হলেও সেটা পর্যাপ্ত ছিলনা বলে এখন অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে। কারণ অতিরিক্ত ভারী যান চলাচলের জন্য প্লেট গুলি এভাবে সরে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বরাদ্দের টাকা চলে এসেছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যেই উপরের ঢালাই সম্পূর্ণ তুলে ফেলে দিয়ে নতুন করে নির্মাণ করা হবে”।