পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে মাঝে মধ্যে বর্জ্রগর্ভ মেঘের সঞ্চার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত চলছে। কয়েকদিন আগেই ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে রাজ্যে শুরু হয় বৃষ্টি। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব রাজ্যে তেমন পড়েনি। তবে অশনির দৌলতে রাজ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে চলা তাপপ্রবাহের মাত্রা আর নেই বললেই। এবার বর্ষা আগমনের অপেক্ষায় রাজ্যবাসী। আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল এবারে রাজ্যে বর্ষা আগমন আগেই হবে। সেই পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সংলগ্ন আন্দামান সাগরে পৌঁছে যাবে বর্ষা৷ সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে গত পাঁচ বছরের রেকর্ড ভেঙে আগামী ২৭ মে কেরলে ঢুকে পড়তে পারে বর্ষা৷ হাওয়া অফিসে পূর্বাভাস অনুযায়ী সব ঠিক ঠাক থাকলে রাজ্যের বর্ষার জন্য অপেক্ষা শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
সাধারণ এ রাজ্যের উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে বর্ষার পৌঁছনোর নির্ধারিত দিন ৭ জুন৷ দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা পৌঁছয় ১১ জুন৷
আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাধারণ আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ২২ মে পৌঁছয় বর্ষা৷ তবে এবার আন্দামান সাগরে মৌসুমী বায়ু পৌঁছে যাওয়ায় আগামী ১৭ থেকে ১৯ মে আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাত হবে৷ সমুদ্র উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। সেই সঙ্গে ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।
দেশের মধ্যে কেরলেই প্রথম ঢোকে বর্ষা৷ আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালে দেশে বর্ষা ঢুকেছিল ৩০ মে৷ ২০১৮ সালে কেরলে বর্ষা প্রবেশ করেছিল ২৯ মে৷ ২০১৯ সালে কেরলে বর্ষা পৌঁছেছিল ৬ জুন৷ ২০২০ সালে ৫ জুন ও ৩১ মে কেরলে আসে বর্ষা। এবার ২৭ মে বর্ষা কেরলে পৌঁছলে গত পাঁচ বছরের রেকর্ড ভেঙে যাবে৷
অশনির আগমন কলকাতাবাসীর জন্য স্বস্তি দিয়ে গেছে। আবহবিদদের মতে, অশনি অজান্তেই কলকাতাবাসীর উপকার করে দিয়ে গেছে। বর্তমানে কলকাতা দূষণ ক্রমশই বাড়ছে। একদিকে যেমন আছে কলকারখানা অপরদিকে আছে গাড়ির কালো ধোঁয়া। ফলে দূষণের কারণে সমস্যায় কলকাতাবাসী। বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার অবকাশ নেই। কিন্তু অশনি দিয়ে গেল সেই স্বস্তি। অশনি আছড়ে পড়ল না ঠিকই৷ ক্ষয়ক্ষতির মুখেও কলকাতাবাসীকে ফেলল না, কিন্তু দিয়ে প্রাণবায়ু।