পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ট্যুইটারের নতুন এগজিকিউটিভ অফিসার পদে বসেন পরাগ আগরওয়াল। জ্যাক ডর্সির জায়গায় স্থলাভিষিক্ত হন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুম্বইয়ের এই তরুণ ইঞ্জিনিয়র। এলন মাস্ক এখনও ট্যুইটার কেনার চুক্তি সম্পূর্ণ করেননি। ৪৪ বিলিয়ন ডলারের ডিল এখনও থমকে রয়েছে। এই অবস্থায় ট্যুইটার সংস্থায় কি বড়সড় রদবদল হতে পারে। তেমনই গুঞ্জন উঠেছে। প্রথম পদক্ষেপই হতে পারে ট্যুইটার সিইও, ভারতীয় বংশোদ্ভুত পরাগ আগরওয়ালকে সরানো।
একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মাস্ক ট্যুইটারের বর্তমান ম্যানেজমেন্টে তাঁর আস্থার অভাবের কথা বলেছেন, যার মধ্যে আগরওয়ালও থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিবেদনটি ইঙ্গিত দিয়েছে যে এলন মাস্কের কাছে ট্যুইটার বিক্রির চুক্তিতে শিলমোহর না পড়া পর্যন্ত, পরাগ আগরওয়াল কোম্পানিতে তাঁর অবস্থান বজায় রাখবেন, তার পরে কি হবে তা নিয়ে রীতিমতো সংশয় তৈরি হয়েছে। পরাগকে সরানো হলে সেই পদে কে বসবেন তা নিয়ে এখনও আদৌ কিছু জানা যায়নি। তবে একটি রিপোটে প্রশ্ন উঠেছে, সত্যিই পরাগকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে অন্য রকম আর্থিক ক্ষতিপুরণ দিতে হবে ট্যুইটারকে। ট্যুইটারের সিইও পরাগ আগরওয়াল চলে গেলে ৪২ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৩২১.৬ কোটি টাকা) পাবেন।
উল্লেখ্য, পরাগ আগরওয়াল কম্পিউটার সায়েন্সে পিএইচডি করেন স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পড়াশোনার পাশাপাশি মাইক্রোসফট, ইয়াহু এবং এটিঅ্যান্ডটি ল্যাবরেটরিতেও গবেষক হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। ২০১১ সালে পরাগ একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে যোগ দেন ট্যুইটারে। এরপর ছ’বছরের মধ্যে ২০১৭ সালের অক্টোবরে তাঁকে সংস্থাটি পদোন্নতি দিয়ে করে চিফ টেকনিক্যাল অফিসার। এবার সাফল্য আরও বড়। সরাসরি হচ্ছেন ট্যুইটারের সিইও।
ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন পরাগ আগরওয়াল। ২০০১ সালে ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে গোল্ড মেডেল পাওয়ার পাশাপাশি আইআইটি জয়েন্ট এন্ট্রান্সে ৭৭তম Rank করে ভর্তি হন বোম্বে আইআইটিতে। সেখান থেকে তিনি স্নাতক হন শীর্ষ স্থান অর্জন করে।
ইতিমধ্যে এলন মাস্কের সঙ্গে ট্যুইটারের চুক্তি নিয়ে এক অনিশ্চয়তার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে ট্যুইটার কর্মীদের অন্দরে। আর সেই সমস্ত কিছু সামলাতে হচ্ছে পরাগকে।