পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: অবাধ আধুনিকাতার দিকে এগোচ্ছে সউদি আরব। তাদের এই অগ্রগতিতে স্পষ্ট হয়ে উঠছে পশ্চিমা সংস্কৃতি। বিনোদনের উপরে বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। কখনও কখনও সেই বিনোদনের বিরুদ্ধে বেলেল্লাপনার অভিযোগ এনেছেন অনেকেই। এমন পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে এগোচ্ছে কুয়েত।
এবার কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয়য়ের কো-এডুকেশনে জারি হল নিষেধাজ্ঞা। অর্থাৎ একই ক্লাসে ছাত্র ও ছাত্রী সহাবস্থান নিষিদ্ধ। শিক্ষাক্ষেত্রে এমনটাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল কুয়েত সরকার। ঘটনাপ্রসঙ্গে এমপি মুহাম্মদ হানিফ শিক্ষামন্ত্রী আদিল আল মানেক সম্মিলিতভাবে ছেলে-মেয়ের কো-এডুকেশন ক্লাসের বিরুদ্ধে একমত হয়েছেন। ঘটনাপ্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ফয়েজ আল-ধাফিরি বলেন, ছেলে-মেয়ের একত্রে ক্লাস বন্ধ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। ১৯৯৬ সালের একটি আইন বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে একই ক্লাসে ছাত্র ও ছাত্রী সহাবস্থান নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে চলেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
২০১৫ সালে কুয়েতের সাংবিধানিক আদালত স্কুল-কলেজে সহ শিক্ষার পক্ষে রায় দিয়েছিল। জানিয়েছিল ছেলে-মেয়ে উভয়ে একত্রে ক্লাস করতে পারবে। তবে শর্ত সাপেক্ষেও। তবে উভয়ই কেউ কারোর পাশাপাশি বসতে পারবে না। ছাত্র এবং ছাত্রীদের বসার জায়গা পৃথক হবে। এদিন সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সহশিক্ষা বাতিল করল এমপি মুহাম্মদ হানিফ।
সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছে সাংবিধানিক আদালত ও বেশ কয়েক সমাজকর্মী। তাঁরা মন্তব্য করেছেন, জঙ্গীবাদের কাছে নত হওয়া অন্যায়। এই সিদ্ধান্তে একপ্রকারে জঙ্গীদের কাছে নত হলাম আমরা। ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণের সমকক্ষ এই সিদ্ধান্ত।
সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশাসনিক আদালতে মামলা দায়ের করার পরিকল্পনা করছে ল কলেজ স্টুডেন্টস সোসাইটি। এমনকী কো-এডুকেশন বন্ধ করার সিদ্ধান্তটি একেবারেই অপ্রয়োজনীয় বলে তোপ দাগে তারা। অন্যদিকে কুয়েত বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের অধ্যাপক শেখ আল জাসেম বলেন নতুন করে কো-এডুকেশন নিয়ে এমন বিতর্ক নিঃসন্দেহে দুঃখজনক বিষয়।
শুধু ছাত্র-ছাত্রীর ক্লাসরুমে একত্রে বসায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তাই নয়, শিক্ষাপ্রাঙ্গণ চত্বরে মেয়েদের হিজাব ও বুরকা পরা বাধ্যতামূলক করেছে। ট্যাটুতেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।