উজ্জ্বল বন্দোপাধ্যায়, কুলতলি: সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলায় আবার জখম হলেন কুলতলির এক মৎস্যজীবী। ভাই ও গ্রামের অপর এক মৎস্যজীবীর সঙ্গে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পড়তে হল ওই ধীবরকে। সেখানেই বাঘের হামলায় গুরুতর জখম হয় ওই মৎসজীবি l সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের বেণীফেলি জঙ্গল লাগোয়া নদীর খাড়িতে।
কুলতলি থানার দেউলবাড়ি দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সৌমিত্র সাফুঁইয়ের নৌকায় করে দাদা লখিন্দর ও প্রতিবেশি ইব্রাহিম শেখ সোমবার সকালে রওনা দিয়েছিল কাঁকড়া ধরতে। দুপুরের পর কাঁকড়া ধরার দোন (চার) ফেলে খাওয়া-দাওয়া সেরে নৌকাতেই যখন তাঁরা বিশ্রাম নিচ্ছিল ঠিক সেই সময় আচমকাই ম্যানগ্রোভ জঙ্গলের ভেতর থেকে একটি বাঘ ঝাঁপিয়ে পড়ে একেবারে লক্ষিন্দরের ওপর। তাকে রীতিমত জখম করে ফেলে।
চোখের সামনে বাঘের হামলা হতে দেখে বাকি দুইজন নৌকায় থাকা লাঠি সোটা ও বৈঠা নিয়ে বাঘের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুললে বাঘ ভয়ে শিকার ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে জঙ্গলের মধ্যে পালিয়ে যায়। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় লখিন্দরকে উদ্ধার করে রাতে নিয়ে আসা হয় কুলতলি ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকায় রাতেই চিকিৎসকরা সেখান থেকে স্থানান্তরিত করে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। এদিকে ওই দলটি কুলতলি বিট অফিস থেকে বৈধ অনুমতি নিয়ে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিল বলে দাবি ওই মৎস্যজীবীদের দলটির। এদিকে বাঘের হামলার ঘটনাটি নিষিদ্ধ এলাকায়, না অনুমোদনপ্রাপ্ত এলাকায় হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে বনদপ্তর।
সূএ মারফত জানা গেল, গত ১৫ দিনে সুন্দরবনে ৫ জন এবং এই বছরে এখনও পর্যন্ত ২৬ জন বাঘে আক্রান্ত হয়। তাঁর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। গত ৫ বছরে এই সংখ্যা এখন বেড়ে হল ১২৬ জন।