পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : লোকসভা ভোটের আগে নয়া দণ্ড সংহিতা আইন নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করল কেন্দ্র সরকার। আগামী ১ জুলাই এই তিন আইন কার্যকর করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী বিজেপি। অন্তর্বর্তী বাজেট পেশের সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের মুখেও সেই আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গিয়েছিল। গত বছরের শেষদিকে দেশের পুরনো ফৌজদারি আইনের পরিবর্তে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য বিল পাশ করায় কেন্দ্র। সেগুলি কার্যকর করা নিয়ে বিস্তর আপত্তি জানায় বিরোধীরা। কিন্তু সেসব আপত্তি উড়িয়ে ১ জুলাই ওই তিন আইন কার্যকর করার কথা ঘোষণা করা হল।
এবারের শীতকালীন অধিবেশনেই সংসদে পাশ হয়েছিল দণ্ড সংহিতা বিল। অনুমোদন দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দণ্ড সংহিতার ৩টি বিলে রাষ্ট্রপতি সিলমোহর দেন। রাষ্ট্রপতির সিলমোহরের সঙ্গে-সঙ্গেই বিল তিনটি আইনে পরিণত হয়েছে। ফলে এবার ঔপনিবেশিক আমলের ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা আইপিসি সরিয়ে আসতে চলেছে এই নয়া আইন।
ইন্ডিয়ান পেনাল কোড বা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(ক) ধারা বদলে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, ভারতীয় সাক্ষ্য আইন তুলে দিয়ে মোদি সরকার ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা ও ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম চালু করেছে। ১৮৬০ সালে তৈরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’ প্রতিস্থাপিত হচ্ছে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ দিয়ে, ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’ প্রতিস্থাপিত হচ্ছে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ দিয়ে, এবং ১৮৭৩ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’ (ভারতীয় সাক্ষ্য আইন) প্রতিস্থাপিত হচ্ছে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য বিল’-এ।
এই আইনের বিরোধিতায় সবচেয়ে বেশি সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, ‘এই তিন বিল ভারতের সামগ্রিক নীতির উপর শুধু প্রভাব ফেলবে তাই নয়, জনজীবনের উপর এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়বে। এই তিনটি বিল নিয়ে সব পক্ষের উচিত যত বেশি সম্ভব আলোচনা করা।’