পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ১৫ মে ১৯৪৮ সালে, প্রায় জোরপূর্বক ৭ লক্ষ ৫০ হাজার ফিলিস্তিনিকে বাস্তুচ্যুত করে ইসরাইলি সেনা । এরপর আরবদের জমি জবরদখল করে, ইসরাইল একটি ইহুদি-সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় । পরবর্তীকালে ফিলিস্তিনিরা এই দিনটিকে ‘নাকবা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন । প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে এই দিনটি পালন করা হয়।
আরবি ভাষায় “নাকবা” শব্দের অর্থ “বিপর্যয়”। জবরদখলের বিরুদ্ধে পালিত হয় নাকবা দিবস। মূলত ইহুদিদের আধাসামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনি জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশকে পরিকল্পনামাফিক হত্যা করে এবং তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়,এমনকি অনেক গ্রামও ধ্বংস করে দেয়।
এই দিনটিকে স্মরণ করে ফিলিস্তিনের হাজার হাজার মানুষ। ফিলিস্তিন উদ্ধার রক্ষে গঠিত সংগঠন হামাসের মুখপাত্র গাজি হামাদ জানিয়েছেন, “ নাকবা হল আমাদের দুঃখ, কষ্ট এবং যন্ত্রণার প্রতিচ্ছবি । তিনি আরও বলেন অধিগ্রহণের ৭০ বছর পরেও ফিলিস্তিন ফিলিস্তিনিদেরই রয়েছে । আন্তর্জাতিক মহল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে, ইউক্রেনকে সমর্থন করছেন কারণ তারা মনে করছেন সকলের স্বাধীন ভাবে থাকার অধিকার আছে। ঠিক তেমনভাবেই ফিলিস্তিনের জনগণও স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চায় । পদযাত্রাটি গাজা ভূখণ্ডের আল-কাতিবা স্কোয়ার থেকে শুরু হয়ে রাষ্ট্রসংঘের হেড কোয়ার্টারে গিয়ে শেষ হয়। সারা শহর জুড়ে পদযাত্রায় অংশ নেন মজলুম ফিলিস্তিনিরা। সঙ্গে কয়েকদিন আগে ইসরাইলি সেনার গুলিতে নিহত আল জাজিরার সাংবাদিক শিরিন আবু আখলেহকেও স্মরণ করলেন পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারী মানুষজন।