বিশেষ প্রতিবেদন: ২০২০ সাল থেকে বিশ্বের পাঁচ শীর্ষ ধনীর সম্পদের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়েছে। তাঁদের মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ৮৬৯ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে বিশ্বের ৬০ শতাংশ মানুষ তাঁদের সম্পদ হারিয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৫০০ কোটি মানুষ আগের চেয়ে আরও বেশি গরিবে পরিণত হয়েছেন। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিরা সোমবার থেকে সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে বার্ষিক ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকে অংশ নেন। তার আগেই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে অক্সফাম। প্রতিবেদনে বলা হয়, ধনী ও গরিবের মধ্যে এ বিশাল পার্থক্য আরও বাড়তে পারে। আর এক দশকের মধ্যেই বিশ্ব প্রথম ট্রিলিওনেয়ার পাবে। পাশাপাশি চলতি ধারা অব্যাহত থাকতে ২২৯ বছরের মধ্যেও বিশ্ব থেকে দারিদ্র দূর করা যাবে না। করোনার মধ্যে ধনী ও গরিবের বৈষম্য আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছে অক্সফাম। প্রতিবেদনটি গবেষণা কোম্পানি ওয়েলথ এক্স থেকে তথ্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০২০ সাল থেকে বিশ্বের শীর্ষ ধনী এলন মাস্ক, বার্নার্ড আর্নল্ট, জেফ বেজোস, ল্যারি এলিসন এবং মার্ক জুকারবার্গের সম্পদ বেড়ে ৪৬৪ বিলিয়ন ডলার বা ১১৪ শতাংশ। এদিকে বিশ্বের ৬০ শতাংশ মানুষ বা প্রায় ৫০০ কোটি মানুষের সম্পদ ০.২ শতাংশ কমেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বব্যাপী লোকেরা কম মজুরি ও চাকরির নিরাপত্তা না থাকা সত্ত্বেও কঠোর এবং দীর্ঘ সময় কাজ করছে। ২০২০ সাল থেকে বিশ্বের ৫২টি দেশের ৮০ কোটি মানুষের মজুরি হ্রাস পেয়েছে। অক্সফাম বলছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। অক্সফামের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলেমা শিবজি বলেন, গরিব দেশগুলোতে চরম দারিদ্র্য এখন প্রাক-মহামারি সময়ের চেয়ে আরও বেশি।