পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ‘ভিক্টরি ডে’ বা বিজয় দিবস। ১৯৪৫ সালের ৯ মে নাৎসিবাদী জার্মানি আত্মসমর্পণ করেছিল মিত্রপক্ষের কাছে। সেই থেকেই দিনটি ইউরোপ ও আমেরিকায় ‘ভিক্টরি ডে’ বা বিজয় দিবস হিসাবে উদ্যাপিত হয়ে আসছে। দিনটি উদ্যাপন করে আসছে রাশিয়াও। কারণ, হিটলার বাহিনী মিত্রপক্ষের সোভিয়েত বাহিনীর কাছেও আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সোমবার এই বিজয় দিবস উদযাপন করেছে রাশিয়া। মস্কোর রেড স্কোয়ারে বার্ষিক সামরিক প্যারেডের পর পুতিন হুমকি দিয়েছেন পশ্চিমাদের। বলেছেন, ‘অগ্রহণযোগ্য হুমকি থেকে মাতৃভূমি রক্ষার যুদ্ধ চলছে।’ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির পরাজয় দিবসে জাঁকজমক পূর্ণ বিজয় দিবস উদ্যাপন করেছে রাশিয়া। পুতিন বিজয় দিবসের ভাষণে আরও বলেন, ‘মস্কোর সৈন্যরা নাৎসিবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।’ সৈন্যদের বলেন, ‘তোমরা মাতৃভূমির জন্য যুদ্ধ করছ, এর ভবিষ্যতের জন্য যুদ্ধ করছ, এভাবে কেউই ২য় বিশ্বযুদ্ধের শিক্ষাকে ভুলে যাবে না।’ রুশ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘পশ্চিমারা রাশিয়ার হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। ন্যাটো সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি করছিল। রাশিয়ার কথা কেউ শোনেনি। ওদের অন্য পরিকল্পনা ছিল।’
২য় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির পরাজয়ের ৭৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নকে অভিনন্দন জানিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধজয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। বলেন, ‘১৯৪৫ সালের মতো জয় আমাদেরই হবে।’ পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রুশ বাহিনী। এই অভিযান চলার মধ্যেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির পরাজয়ের ৭৭তম বার্ষিকী উদ্যাপন করছে রাশিয়া। পুতিন বলেন, ‘পূর্বসূরিদের মতোই আজ আমাদের সেনারা নাৎসিদের থেকে তাঁদের মাতৃভূমিকে মুক্ত করার জন্য আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করছে। ১৯৪৫ সালের মতো জয় আমাদেরই হবে।’ পুতিন বলেন, ‘আজ নাৎসিবাদের পুনর্জন্ম ঠেকানো আমাদের সবার দায়িত্ব। কারণ, এই নাৎসিবাদের কারণেই বিভিন্ন দেশের জনগণকে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে।’ ইউক্রেন ফ্যাসিবাদের কবলে পড়েছে বলে অভিযোগ করছেন পুতিন। এই ফ্যাসিবাদ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের সংখ্যালঘু রুশভাষী মানুষ ও রাশিয়ার জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ পুতিনের। নব্য নাৎসিদের হাত থেকে ইউক্রেনকে মুক্ত করার প্রত্যয়ের কথা জানিয়ে আসছে মস্কো। পুতিন বলেন, দুঃখজনকভাবে আজ আবারও নাৎসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। পুতিন বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা পরাজিত হয়েছিল, তাদের মতাদর্শিক উত্তরসূরিদের লাগাম টেনে ধরা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।’ সবশেষে ইউক্রেনের বাসিrদাদের একটি শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যৎ কামনা করেন তিনি।