পুবের কলম প্রতিবেদক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেড বা ডব্লিউবিপিডিসিএল। এই সংস্থার অন্যান্য কাজের মধ্যে রয়েছে কয়লা উৎপাদনও। সেই কাজে বড় সাফল্য পেল ডব্লিউবিপিডিসিএল। গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ কয়লা উৎপাদন করেছে সংস্থাটি। শুধু তাই নয়– লাভেরও মুখ দেখেছে ডব্লিউবিপিডিসিএল। জানা গিয়েছে– রাজ্যের মালিকানাধীন পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেড বা ডব্লিউবিপিডিসিএল ২০২০-২১ আর্থিক বছরে তার ক্যাপটিভ কয়লা উৎপাদন দ্বিগুণ করেছে। এই বছর ৬.২৫ মিলিয়ন টন কয়লা উৎপাদন করেছে ডব্লিউবিপিডিসিএল– যার পরিমাণ ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে ছিল ৩.১ মিলিয়ন টন।
প্রসঙ্গত– রাজ্য সরকারের সংস্থা ডব্লিউবিপিডিসিএল চারটি কয়লা খনি পরিচালনা করছে। ঠিকভাবে পরিচালনা ও নিবিড় প্রয়াসে এই সাফল্য বলেই সংস্থার কর্তাদের মত। ২০১৮-১৯ সালের এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত কয়লা উৎপাদন ছিল মাত্র ০.০৮১ মিলিয়ন টন। পঞ্চওয়ারা (নর্থ)– বারজোড়া (নর্থ)– বারজোড়া ও গঙ্গারামচক কয়লা খনিগুলি চালু রয়েছে। জানা গিয়েছে বাঁকুড়ার তারা কয়লা খনিতে শীঘ্রই উৎপাদন শুরু হতে চলেছে।
ডব্লিউবিপিডিসিএল সূত্রে খবর– ক্যাপটিভ কয়লা উৎপাদন বৃদ্ধি ক্রমান্বয়ে কয়লা সরবরাহের ক্ষেত্রে স্বনির্ভর হওয়ার দিকে এগোচ্ছে। প্রায়মিকভাবে দেওচা পাচামিতে ২.১ বিলিয়ন টন কয়লা মজুদ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এখানে শীঘ্রই উৎপাদন শুরু হবে বলে খবর। দেওচা পাচামিতে কয়লা উৎপাদন শুরু হলে পরিস্থিতির আমূল বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রায় ৩–৫০০ একর এলাকাজুড়ে যেখানে খনির কাজ হবে এবং একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে– দেওচা এলাকায় প্রায় ৩৫টি গ্রাম রয়েছে। এখানকার প্রায় মানুষদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য আগেই সবদিক দেখার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বেেন্দ্যাপাধ্যায়। তিনি আশ্বস্ত করেছেন- স্থানীয় জনগণকে চিন্তা করতে হবে না– কারণ রাজ্য সরকার তাদের যথাযথ পুনর্বাসন দেবে। শুধু কয়লা উৎপাদনেই নয়– মুনাফার ক্ষেত্রেও সাফল্যের মুখ দেখেছে ডব্লিউবিপিডিসিএল ।