পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ চিন ও আমেরিকা। যুযুধান দুই পক্ষ। বিশ্বে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে দুই শক্তিই তৎপর। আমেরিকা আগে থেকেই ক্ষমতাধর একটি দেশ। তবে পরিস্থিতি বদলেছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে চিন। নানা ইস্যুতে দুই রাষ্ট্রের মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের সহযোগিতায় প্রভাব বিস্তার করতে চাইছে আমেরিকা। সেটাকে মোটেও ভালো চোখে দেখছে না বেজিং। চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়ি ফাংহো জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক মারাত্মক সংকটময় মুহূর্তে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে ওয়াশিংটনকে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, চিনের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত করা থেকে বিরত থাকুন। তাইওয়ান নিয়েও আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়েছে চিন। তাঁর দেশ তাইওয়ানের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়বে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
রবিবার সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত শাংরি-লা নিরাপত্তা সংলাপে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য চিনের সামরিক তৎপরতাকে দায়ী করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তারও কঠোর সমালোচনা করেন ফাংহো। চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, চিন থেকে তাইওয়ানকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য যে প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে তার বিরুদ্ধে বেজিংয়ের সামনে লড়াই করা ছাড়া আর কোনও পথ নেই। আমরা যে কোনও মূল্যে লড়াই করব এবং শেষ পর্যন্ত এই লড়াই আমরা চালিয়ে যাব। চিনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করা থেকে ঘিরে অন্য দেশকে দ্বন্দ্বে জড়ি্য়ে দেওয়ার ব্যবস্থা বিরত থাকতে ওয়াশিংটনের প্রতি জোরালো আহ্বান জানান ওয়ি ফাংহো। তিনি আরও বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোকে হাইজ্যাক করার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন। একইসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিযুক্ত করে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন সংঘাত ও যুদ্ধের কৌশল অনুসরণ করছে। ১৩ দেশের অংশগ্রহণে সম্প্রতি ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক গঠনের জন্য যে ঘোষণা দিয়েছে আমেরিকা তা মূলত চিনকে টার্গেট করেই করা হয়েছে। এটি এমন একটি কৌশল যা দ্বন্দ এবং সংঘাতকে উসকে দেবে। আমেরিকা প্রকৃতপক্ষে এক দেশকে করছে। ওয়ি ফাংহো আরও বলেন, চিন শান্তি ও স্থিতিশীলতা চায় এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য এটি কোনও আগ্রাসনকারী দেশ নয়। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সংহতি জোরদার এবং সংঘাত ও বিভক্তির নীতি থেকে সরে আসার আহ্বান জানান।