পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে তাকে বিচারের আওতায় আনার ঘোষণা করেছে রুশপন্থী দোনেৎস্ক পিপস রিপাবলিকের প্রশাসন। এজন্য গঠন হবে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল। বিচারপর্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকাকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হবে। ডিপিআর পিপলস কাউন্সিলের ফৌজদারি ও প্রশাসনিক বিধান-সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান ইলেনা শিশকিনা বলেছেন, ২০১৪ সালের পর থেকে দোনবাস অঞ্চলে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠনের কাজ চলছে। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালের সনদ প্রণয়নের কাজ চলছে। দোনেৎস্কের প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় রাশিয়ার আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে এ সনদ প্রণয়ন করছে। শিশকিনা বলেন, অসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের দায় কেবলমাত্র যারা বন্দুক বহন করেছে ও ট্রিগার টেনেছে তাদের নয়, যে জেনারেল হুকুম দিয়েছেন তাকেও জবাবদিহি করতে হবে। ইউক্রেনের সামরিক, আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি তাদের হুকুমদাতা রাজনীতিবিদদেরও বিচার করা হবে। জেলেনস্কির পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কো ও প্রাক্তন স্পিকার ওলেক্সান্দার তুরশিনভকেও বিচারের মুখোমুখি করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান। ইলেনা শিশকিনা বলেন, অসামরিক নাগরিকদের হত্যার জন্য দোনবাস অঞ্চলে নাৎসিদের পাঠানো হয়েছে। জেলেনস্কি, পোরোশেঙ্কো ও তুরশিনভ এ সংক্রান্ত আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। তাঁর কথায়, ‘আমরা আশা করছি আন্তর্জাতিক রীতি ও আইনি বাধ্যবাধকতার বিষয়টি সবার বিবেচনায় প্রাধান্য পাবে এবং আমেরিকা ও ইইউসহ সব দেশ ট্রাইব্যুনালে নিজেদের প্রতিনিধি পাঠাবে’। তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত দোনবাসে আট হাজারের মতো বন্দি আছে। এদের মধ্যে ইউক্রেনের আযভ, আইডার ও অন্যান্য মিলিটারি ব্যাটালিয়নের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যও রয়েছেন। ট্রুাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরুর দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি গ্রীষ্ম শেষের আগেই সামরিক বাহিনী সদস্যদের বিচারে কাজ শুরু করবে’। তিনি আরও বলেন, ডিপিআরের দণ্ডবিধিতে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। যুদ্ধাপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনালে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।