দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন, : কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বহিষ্কৃত তিন পড়ুয়াকে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ শুক্রবার গভীর রাত্রে অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানদের এই মর্মে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তিন পড়ুয়াকে প্রায় নয় মাস সাসপেন্ড করা হয়। এর মাঝেই তাদেরকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়ে ওঠে পড়ুয়ারা এবং অধ্যাপকদের একাংশ। উপাচার্যের বাড়ির সামনে অবস্থান মঞ্চ করে আন্দোলন শুরু করে পড়ুয়ারা। সমাজের বিভিন্ন মহল থেকে তাদের সমর্থন জানানো হয়। বিষয়টি গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। সেই মামলায় রায় দান করতে গিয়ে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের উপর গত বুধবার স্থগিতাদেশ দেন কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি আদালত
নির্দেশ দেয় বৃহস্পতিবার থেকেই ওই তিন পড়ুয়ার স্বাভাবিক ক্লাস করার অনুমতি দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।আদালতের নির্দেশ মেনে ছাত্র আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয় এবং অবস্থান মঞ্চ সরিয়ে নেয় পড়ুয়ারা। যদিও তাদের স্বাভাবিক ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো উদ্যোগ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে দেখা যায়নি। অবশেষে শুক্রবার গভীর রাত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর, সংগীত ভবন ও বিদ্যাভবনের অধ্যক্ষ এবং হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতর বিভাগীয় প্রধানকে চিঠি দিয়ে বহিস্কৃত ছাত্রী রুপা চক্রবর্তী ও অর্থনীতি ও রাজনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে চিঠি দিয়ে দুই ছাত্র ফাল্গুনী পান ও সোমনাথ সৌ কে স্বাভাবিক ক্লাসে ফিরিয়ে নেবার ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠিতে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের উল্লেখ করেই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত স্থগিত ও পড়ুয়াদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
চিঠিগুলির কপি ঐ তিন পড়ুয়াকেও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পরেই, তিন পড়ুয়া ইমেল করে, আদালতের নির্দেশ মেনে তাদের স্বাভাবিক ক্লাসে যোগ দেওয়ার অনুমতি চান।
শুক্রবার রাত্রে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে পড়ুয়ারা। তবে উপাচার্যের বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলন চলবে তা আবারো স্পষ্ট করেছেন তারা।