পুবের কলম প্রতিবেদক: একাধারে তিনি মিস্টার ইন্ডিয়া, তারপর মিস্টার ওয়ার্ল্ড। এমনকি একটা সময় তিনি মিস্টার এশিয়া, সাউথ এশিয়াও হয়েছেন। তিনি বিহারের রাজু খান। দেহ সৌষ্ঠবটা তাঁর চিরকালের খুব প্রিয় ছিল। শরীরটাকে তিনি একটি পবিত্র জিনিস মনে করেন। তাই বিভিন্ন দেহ সৌষ্ঠব প্রতিযোগিতায় তাঁর উপস্থিতি। সম্প্রতি সেই রাজু খান নেপালের কাঠমান্ডুতে আয়োজিত ৫৫ তম এশিয়ান বডিবিল্ডিং ও ফিজিক স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ২৪ টি দেশের প্রতিযোগীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। তাদের সবাইকে টপকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সোনা জিতে নিলেন দক্ষিণ পূর্ব রেলের এই বডিবিল্ডার। ৬৫ কেজি বিভাগে রাজু এই পদক জয় করেন।
বিহারের মতিহারী জেলার মধুবন ব্লকের বেলবা পঞ্চায়েতের মনির আলমের ছেলে রাজু খান। ৩ থেকে ৫ জুন গোয়াতে বসেছিল এশিয়ান বডিবিল্ডিং চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত দল বাছার কর্মশালা। সেখান থেকেই কাঠমান্ডুর জন্য নির্বাচিত হয়ে যান রাজু। এই ক্যাম্পে মোট ৭০০ প্রতিযোগি ছিলেন। সেখান থেকে নির্বাচিত হয়ে রাজু কাঠমান্ডু যান। আর সেখানেই তিনি এই কীর্তি স্থাপন করেন। বডি বিল্ডিংয়ের সৌজন্যেই বেশ কয়েক বছর আগে রেলে চাকরি পান রাজু খান। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ পূর্ব রেলের টাটানগর বিভাগে সিনিয়র ক্লার্কে কর্মরত।
শুধু বডি বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন জায়গায় অংশ নেওয়াই নয়, রাজু খানের আরও একটি পরিচয় রয়েছে। ভারতীয় দলের কিংবদন্তি বিরাট কোহলি ও শিখর ধাওয়ানেরও শারীরিক প্রশিক্ষক। ২০১১ সালে বিশ্বকাপে নামার আগে বিরাট কোহলিকে শারীরিক সক্ষমতার ট্রেনিং দিয়েছিলেন রাজু খান। দেশের হয়ে তো বটেই। রেলের হয়েও বহু পদক জেতা রাজু খান এখন ভারতীয় বডি বিল্ডিংয়ের এক অন্যতম স্তম্ভ হয়ে উঠেছেন। রেলের হয়ে বহু পদক জিতেছেন তিনি। কিন্তু দেশের হয়ে পদক জেতা রাজু খানের পরিবারে দীর্ঘদিন পরে খুশির হাওয়া বইছে।