পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: গত বছর পর্যন্তও আমেরিকার স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের সিলেবাসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সন্দিহান ছিল। প্রকৃতপক্ষে, তারা ‘চ্যাট-জিপিটি’র মতো এআই সরঞ্জামগুলি কীভাবে নিষিদ্ধ করা যায় সে বিষয়ে বিশেষ নীতি গ্রহণ করছিল। তবে এখন আমেরিকার ছোট-বড় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-অধ্যাপকরা শিক্ষার্থীদের ‘এআই টুলস’ ব্যবহার করতে উৎসাহ দিচ্ছেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কীভাবে স্কুল-কলেজে ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের শেখাচ্ছেন তাঁরা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এআই-এর ব্যবহার শিক্ষা ব্যবস্থায় কেমন প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকরা। রোড আইল্যান্ডের এক কলেজের প্রশাসক লান্স এটন বলেন, ‘এর আগে আমরা সেমিস্টারে এটি নিষিদ্ধ করতে দেখেছি, তবে এখন এআই-এর ব্যবহার শিক্ষার্থীদের জন্য কেন উপযোগী তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ ইতিমধ্যেই স্কুল-কলেজগুলিতে ‘হায়ার এড ডিসকাসান্স অফ রাইটিং অ্যান্ড এআই’ ও ‘দ্য গুগল গ্রুপ এআই ইন এডুকেশন’ নামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেন্দ্রিক ফেসবুক গ্রুপ চালু হয়েছে। এটন বলেন, ‘এটি সত্যিই শিক্ষাবিদদের দেখতে সাহায্য করেছে যে অন্যরা কীভাবে শ্রেণীকক্ষে এআই-এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে ।’ তিনি আরও বলেন, ‘এআই নিয়ে এখনও অস্বস্তি হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু স্কুল-বিশ্ববিদ্যালয়ে ও বিভিন্ন কোর্সে এর ব্যবহারে ঝুঁকছেন অনেকে।’ রিপোর্ট বলছে, অনেক অধ্যাপকই চ্যাটজিপিটির ব্যবহার নিয়ে ভয় পাচ্ছেন ও একে উপেক্ষা করছেন। তাঁদের মতে এর ব্যবহার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ক্ষতিকর হবে। এদিকে, ইন্টেলিজেন্ট.কম-এর একটি সমীক্ষা বলছে, গত শিক্ষাবর্ষে ৩০ শতাংশেরও বেশি কলেজ শিক্ষার্থী স্কুলের কাজে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করেছেন এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা ইংরেজি ক্লাসে ব্যবহার করা হয়েছে। সমীক্ষায় দেখা যায়, এআই ব্যবহারের ফলে ৮জনের মধ্যে ১ জন তার ‘গ্রেড পয়েন্ট’ বৃদ্ধির কথা বলেছে। সমীক্ষা থেকে আরও জানা যায়, চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারীরা এই টুল দিয়ে পড়াশোনা করে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। ৪ জনের মধ্যে ৩ জন শিক্ষার্থীই এক্ষেত্রে অন্যদের চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। তবে শিক্ষাক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির মতো ‘এআই’ টুল-এর ব্যবহার কতটা উপযোগী হবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে অনেকের। বিশ্লেষকরা বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার ব্যবহার কমবে, ফলে আদতে ক্ষতি তাদেরই হবে।