পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ রাশিয়ার হুমকি উপেক্ষা করেই ইউক্রেনকে ফের একবার অস্ত্র সহায়তার ঘোষণা করল আমেরিকা। ইউক্রেনে নতুন করে ১৫ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এছাড়া রাশিয়ার ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপানোর চিন্তা করছে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলো। এ বিষয়ে রবিবার ৮ মে বৈঠক আয়োজিত হবে। এদিকে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মারিওপল শহরের আজভস্তল ইস্পাত কারখানার ভেতরে থাকা ইউক্রেনের যোদ্ধারা রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর।
টেলিগ্রামে আজভ রেজিমেন্টের কমাণ্ডার ডেনিস প্রকোপেঙ্কো তার সৈন্যদের প্রশংসা করে বলেন, তারা রুশদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ দেখিয়েছে। এর আগে ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্রের প্রবেশ ঠেকাতে একাধিক রেলস্টেশনসহ অন্যান্য সরবরাহ লাইনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
পশ্চিমা দেশগুলো ‘অস্ত্র দিয়ে ইউক্রেন ভর্তি’ করছে বলেও অভিযোগ তুলেছে মস্কো। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে কথা বলেছেন।
বাইডেন ও ট্রুডো দুজনেই মনে করছেন, ইউক্রেনের পরিস্থিতির জন্য রাশিয়ার হামলা এককভাবে দায়ী। ইউক্রেনের নিরাপত্তা কীভাবে বাড়ানো যায়, সেই প্রচেষ্টার ব্যাপারে কথা বলেন দুই নেতা। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, আগামী জুন মাসে লস অ্যাঞ্জেলসে আমেরিকার শীর্ষ সম্মেলনের বিষয়েও আলোচনা করেছেন বাইডেন-ট্রুডো।
নতুন করে ইউক্রেনের সহায়তার ব্যাপারে বাইডেন বলেছেন, সর্বশেষ মার্কিন সহায়তা প্যাকেজে ইউক্রেনের সেনাকে আর্টিলারি যুদ্ধাস্ত্র এবং রাডার দেওয়া হয়েছে। একজন ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্যাকেজে শত্রুবাহিনীর হামলা প্রতিহত করার জন্য কাউন্টার আর্টিলারি রাডার এবং ইলেকট্রনিক জ্যামিং সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এ নিয়ে ইউক্রেনে মার্কিন সহায়তার মোট পরিমাণ দাঁড়াল ৩.৮ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন কংগ্রেসকে আরও ২০ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তাসহ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের একটি বিশাল প্যাকেজ অনুমোদনের আহ্বান জানিয়েছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনকে শক্তিশালী করতে এই সহায়তা কাজে লাগানো হবে।
বলাই বাহুল্য, আমেরিকাসহ পশ্চিমাদের এই অস্ত্র সহায়তা ইউক্রেন যুদ্ধকে আরও ভয়াবহ করে তুলবে, রাশিয়ার শর্ত অনুযায়ী ইউক্রেন আত্মসমর্পণ না করলে আরও বহু প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে এখনও পর্যন্ত ৬০ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শরণার্থী সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।