১) রাষ্ট্রসংঘের ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের এজেন্সির বক্তব্য, বিগত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চারিদিক থেকে অবরুদ্ধ ২৩ লক্ষ মানুষের গাজায় পানি, খাদ্য, ওষুধের মতো কোনও মানবিক সাহায্য পৌঁছায়নি।
২) রাষ্ট্রসংঘের উদ্বাস্তু এজেন্সি জরুরি বার্তায় বলেছে, গাজায় পানির সরবরাহ প্রায় শেষ। ফলে ২৩ লক্ষ পানিবিহীন মানুষ বিরাট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
৩) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলেছে, ১৪ অক্টোবর সকাল পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় নিহত যেসব লাশের সন্ধান তারা পেয়েছে, তার মধ্যে ৭২৪ জন হচ্ছে শিশু। আর মহিলার সংখ্যা হচ্ছে ৪৫৮ জন। মারাত্মক জখমদের সংখ্যা অগুণতি। তাও কিন্তু ইসরাইল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ফসফরাস বোমা বর্ষণ-সহ ঘনবসতিপূর্ণ এই জনপদে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। নতুন নতুন অস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে।
৪) গত শনিবার থেকে ইসরাইলি বাহিনীর বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, কামান প্রভৃতির হামলায় কম করে ২২১৫ জন ফিলিস্তিনি মুসলিম মারা গেছে। আর আহত হয়েছে ৮৭১৪ জন। এই সংখ্যা প্রতি ঘণ্টায় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৫) গাজার ১১ লক্ষ মানুষকে ইসরাইলি সেনার অবিলম্বে ঘরবাড়ি ছাড়ার নির্দেশে চরম মানবিক বিপর্যয়: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও ফ্রান্সকে বাদ দিয়ে আন্তর্জাতিক আবেদন ও হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও মারণাস্ত্রে-সজ্জিত ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজার ১১ লক্ষ শিশু, বৃদ্ধ, নারীকে এখনও বলছে, একটু সময় নষ্ট না করে তারা যেন ঘরবাড়ি ছেড়ে দক্ষিণের দিকে অগ্রসর হয়। যাদের এ কথা বলা হচ্ছে, তাদের মধ্যে রয়েছে অশতিপর বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, অসুস্থ, গুরুতর আহত ও শিশুরা। যাদের পক্ষে ইসরাইলি সৈন্যবাহিনীর সময়সীমার মধ্যে কোনও মতেই চলে যাওয়া সম্ভব নয়। এই প্রশ্ন উঠেছে, এই ১১ লক্ষ মানুষ যদি যায়ও, কিন্তু কোথায় যাবে?
৬) ইসরাইলি সেনারা গাজায় অবস্থিত আল-আওয়াদা হাসপাতালকে অবিলম্বে হাসপাতাল ছেড়ে অসুস্থ এবং জখমদের নিয়ে দক্ষিণে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। আল-আওয়াদা হাসপাতালের প্রধান বলেছেন, আমাদের স্টাফদের মধ্যে রয়েছে ৩৫ জন ডাক্তার এবং স্বাস্থ্য সহায়ক। তাঁরা হাসপাতালে থেকে অসুস্থদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে বদ্ধপরিকর।
৭) ইসরাইলি সেনারা আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে কামান দ্বারা গোলাবর্ষণ, গানবোট থেকে আক্রমণ এবং ট্যাঙ্ক ব্যবহার করে গাজার পশ্চিমাঞ্চলে বিরতিবিহীন আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।
৮) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু ইসরাইলকে বলেছে যে, আল-আওয়াদা হাসপাতালকে বন্ধ করে সরিয়ে নেওয়ার যে নির্দেশ তারা জারি করেছে, তা কার্যকর করা যেন না হয়। কারণ, এই হাসপাতাল থেকে অসুস্থদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তা রোগী ও জখমীদের মৃত্যু ডেকে আনবে।