পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: সারাদেশে অত্যন্ত গাম্ভীর্যপূর্ণ পরিবেশে বিশ্বনবী দিবস বা ঈদে মিলাদুন্নবী পালিত হলেও সবার নজর ছিল উত্তরপ্রদেশের দিকে। উত্তরপ্রদেশের মুসলিমরা নির্দিষ্ট রুটেই শোভাযাত্রা বের করা নিয়ে স্থির থাকে আর কয়েকটি শহরের মতো তারা একদিন বাদে নবী দিবস পালন বা শোভাযাত্রা বের করার সম্মত হয়নি। প্রশাসনের সঙ্গে বারবার বৈঠকের পরও তারা বৃহস্পতিবার ১২ রবিউল আউয়াল নবী দিবস পালন করেন। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সেনাল ল বোর্ডের সদস্য ইউপি-র প্রসিদ্ধ আলেম মাওলানা রশিদ ফরজনী মাহালি শান্তিপূর্ণভাবে এই দিনটি পালনের জন্য আবেদন করেন। সকালে বেরেলিতে নবী দিবসের শোভাযাত্রা নিয়ে প্রথম বিরোধের খবর আসে। শোভাযাত্রাকারীরা নির্দিষ্ট রুট বদল করতে না চাওয়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ব্যাপক পুলিশি ব্যবস্থা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপের ফলে নির্দিষ্ট রুটেই শোভাযাত্রা বের হয়।
লখনউ ইসলামিক সেন্টারের পক্ষ থেকেও আবেদন করা হয় শান্তিপূর্ণ উপায়ে মিছিল বের করার। কোথাও আবার মিছিলে ডিজে ও মিউজিক নিয়ে আপত্তি উঠলে সেগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্নস্থানে বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর রাতেই শোভাযাত্রা নিয়ে নির্দেশজারি করা হয়। কোনও উত্তেজনাকর ও রাজনৈতিক শ্লোগান দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। একইদিনে গণেশমূর্তি বিসর্জন নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। কয়েকটি স্থানে দুই শোভাযাত্রার সামনাসামনি হয়ে পড়া আটকাবার জন্য সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়। নওয়াদাতেও নির্দিষ্ট রুটে নবী দিবসের মিছিল নিয়ে আপত্তি ওঠে। পুলিশের হস্তক্ষেপ মিছিল রুটেই চলে।