পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: দেড়মাস ধরে গাজায় চলেছে ইসরাইলি বম্বিং। যুদ্ধবিরতির ফলে তাই রাতারাতি বদলে যায়নি ফিলিস্তিনের এই ভূখণ্ডটির ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র। মানুষ এখনও অসহায় গাজায়। বাড়িঘর গুঁড়িয়ে গেছে ইসরাইলি হানায়। তাই যুদ্ধবিরতি-পরবর্তী ৪ দিনে খোঁজাখুঁজির পরেও হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘরের হদিস পাননি। অগত্যা শরণার্থী শিবিরে গাদাগাদি করেই থাকতে হচ্ছে অনেককে। সেখানে তৈরি হয়েছে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। নেই পর্যাপ্ত পানীয় জল, খাদ্য, ওষুধ। প্রতিদিন ১০০০ ট্রাক ত্রাণ পাঠালে তবেই গাজার মানুষের চাহিদা পূরণ হতে পারে বলে জানিয়েছে হামাস সরকার।
রাষ্ট্রসংঘের প্রতিনিধিদল জানিয়েছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসী এখন ট্রমার মধ্যে বাস করছে। দুঃখ, হতাশা, অবসাদ তাদের ঘিরে ধরেছে। পাশাপাশি বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে রোগব্যাধি। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছে। ইউএনআরডব্লিউএ’র মুখপাত্র মুহাম্মদ আদনান আবু হাসনাহ সেখানকার পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন এভাবে—গাজার নুসাইরাত শরণার্থী ক্যাম্পের আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিরা গাজার চালু থাকা একমাত্র পেট্রোল পাম্পে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন, হয়তো ত্রাণবাহী ট্রাক সেখানে গ্যাস সরবরাহ করবে। সেখানকার মানুষগুলো কাঠ দিয়ে কোনোরকমে রান্না করছেন ও নিজেদের শীতের হাত থেকে গরম করে রাখছেন। অ্যাম্বুলেন্সগুলোও জ্বালানি ভরতে সেখানে লাইন ধরে আছে। আমরা জানতে পেরেছি, আজ ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। জ্বালানি দিয়ে কিছু পানি সরবরাহ প্লান্ট চালু রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, গাজার মানুষের প্রাণ বাঁচাতে প্রতিদিন অন্তত ২০০ ট্রাক ত্রাণ আসা প্রয়োজন। যারা পালিয়ে এসেছেন তাদের স্বাস্থ্যগত অবস্থা অনেক খারাপ। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রোগব্যাধি ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।