পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সংসদে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। মাত্র ৫৮ মিনিটেই বাজেট ভাষণ শেষ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। যা তাঁর সংক্ষিপ্ততম বাজেট ভাষণ। আগেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কোনও চটকদারি বাজেট পেশ থাকবে, সেই কথামতোই পেশ হয়েছে বাজেট। লোকসভা ভোট এসে যাওয়ায় এবার তিন মাসের জন্য বাজেট পেশ করবেন। আয়কর সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, ছাড়ের সীমা বৃদ্ধি, নয়া পেনশন স্কিমে নয়া সুযোগ, প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদের হার বৃদ্ধি, প্রবীণ নাগরিক ও মহিলাদের সুযোগ বৃদ্ধি, কৃষকদের জন্য বড় কোনও ঘোষণা হতে পারে বলে আশা তৈরি হয়েছিল। পরিবর্তন হল না আয়কর কাঠামোর।
‘আমদানি শুল্ক-সহ প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ করের হার একই রাখা হবে। আগেরবারের মতোই থাকছে আয়করের। আগামী জুলাইতে আমরাই পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করব। আত্মবিশ্বাসী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি দাবি করেন, সেই পূর্ণাঙ্গ বাজেটে বিকশিত ভারতের রূপরেখা পেশ করবেন। বাজেট পেশের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন ২০২৪ এ ফের মসনদে বসছে মোদি সরকার।
মন্ত্রী জানান, তৈরি হবে রেলওয়ে করিডর। শক্তি, খনিজ ও সিমেট করিডর, বন্দর করিডর এবং বেশি ট্র্যাফিক থাকা করিডর। বেশি ট্র্যাফিক থাকা করিডরের ফলে বাড়বে ট্রেনের গতি। সুরক্ষা বাড়বে যাত্রীবাহী ট্রেনের। ৪০,০০০ সাধারণ বগিকে বন্দে ভারতের পর্যায়ের উন্নতি করা হবে। আশাকর্মী এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের আয়ুষ্মান ভারতের আওতায় আনা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের আশাকর্মী এবং এবং অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরাও সেই সুবিধা পাবেন কিনা, তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্পদ যোজনার ফলে প্রচুর কৃষক লাভবান হয়েছেন। এক কোটি বাড়ির মাথায় সৌর প্যানেল বসানো হবে। মাসে ৩০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুৎ মিলবে। বছরে বিদ্যুতের বিলে ১৫,০০০-১৮,০০০ টাকা বাঁচবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভারতের লক্ষ্য হল ‘জিডিপি’। এই জিডিপি হল – গর্ভনেন্স, ডেভেলপমেন্ট এবং পারফরম্যান্স। কাজ হল ভালোভাবে প্রশাসন চালানো।