পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : সামনে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪ এ লোকসভা। সব রাজনৌতিক দলরে জন্যেই ঘর গোছানোর এটা আদর্শ সময়। তবে আঞ্চলিক দল হয়েও যে তৎপরতা মমতার দল দেখাচ্ছে কংগ্রেসের মধ্যে তার সিকিটুকুও নেই। বাংলায় বিজেপি ছেড়ে নেতারা ফিরছেন তৃণমূলে।গোয়ায় নয়া সূর্যের স্লোগান দিয়েছে তৃণমূল। এবার উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস শিবিরে ধরল ভাঙন। শিলিগুড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা রাজেশপতি ত্রিপাঠী ও ললিতেশ ত্রিপাঠী। যোগদান কর্মসূচির মাঝেই ছট পুজোর পর বারাণসী যাবেন বলেও জানিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে শিলিগুড়িতে ছিল যোগদান কর্মসূচি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে সেখানেই তৃণমূলে যোগ দেন উত্তরপ্রদেশের দুই কংগ্রেস নেতা রাজেশপতি ত্রিপাঠী ও ললিতেশ ত্রিপাঠী। তৃণমূলে যোগদানের পরই তৃণমূল নেত্রীর হয়ে লড়াইয়ের ডাক দেন দুই প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা।
এদিনও বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দাবি করেছেন, সব কাজে কেন্দ্রের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে এসবে যে মোটেও গুরুত্ব দিচ্ছেন না তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি সামনেই গোয়া যাচ্ছি। ওখানেও বিভিন্ন কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। ছট পুজোর পর বারাণসী যাব। এভাবে আমাদের আটকানো যাবে না। তৃণমূলের প্রতি মানুষের ভরসা বাড়ছে। বাংলায় যখন পেরেছি, ভারতেও পারব।”
রাজনৈতিক মহল বলছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটটাকে সামনে রেখে মমতা দেখে নিতে চাইছেন তাঁর দলের শক্তি ঠিক কতখানি। কংগ্রেসও ঠিক একই কায়দায় বুঝে নিতে চাইছে তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক শক্তি। মূলত সে কারণেই এই মুহূর্তে
দুই দলের কাছে আসার সম্ভাবনা কম। তবে ২০২৪ এর আগে দুই দলের রাজনৈতিক সমীকরণ ঠিক কোন জায়গায় পৌঁছবে, তা হলফ করে বলে দেওয়ার সময় এখনও আসেনি। কথাতেই আছে রাজনীতি হল সম্ভবনার শিল্প।