পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: জার্মানিতে ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নিল চারজনের। ঘটনায় জখম হয়েছে আরও ৩০ জন। পুলিশ জানিয়েছে, জার্মানির দক্ষিণ-পূর্ব বাভেরিয়া এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। মিউনিখের দিকে যাচ্ছিল যখন গার্মিশ-পার্টেনকির্চেনের ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ওই কামরাগুলির মধ্যে প্রধানত পড়ুয়ারা ছিলেন। কি কারণে এই দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে রেল। আহতদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, হতভাগ্য পরিবারগুলির পাশে আছে তারা। গার্মিশ-পার্টেনকির্চেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, প্রায় ৬০ জন আহত হয়েছে। তবে জার্মান ফেডারেল পুলিশের একজন মুখপাত্র স্টেফান সোনট্যাগ বলেছেন যে এই পরিসংখ্যানটি ট্রেনে যাত্রীদের সংখ্যা উল্লেখ করেছে। শুক্রবার স্থানীয় সময় প্রায় ১৩.১৫ এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। ট্রেনটি মিউনিখের উদ্দেশ্যে গার্মিশ-পার্টেনকিরচেন ছেড়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই লাইনচ্যুত হয়।
অবশ্য নিহতদের কোনও পরিচয় পুলিশ প্রকাশ করেনি। তবে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
জার্মানির সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। সেসব ছবিতে দেখা যায়, দ্বিতল ট্রেনের কয়েকটি বগি গাছের ডালপালার সঙ্গে আটকে আছে। ওই এলাকায় এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। দুর্ঘটনার পর থেকে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ঘটনাস্থলে রয়েছে জরুরি পরিষেবার কর্মীরা। জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে তারা। জানলার কাঁচ কেটে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। অস্ট্রিয়ান অঞ্চলের টাইরল থেকে তিনটি স্ক্র্যাম্বল সহ ছয়টি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে উদ্ধার কার্যে পাঠানো হচ্ছে। একটি বিমান সেনা ঘাঁটির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ট্রেনটি হঠাৎ লাইনচ্যুত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, হঠাৎ ট্রেনটি উলটে যায়। ফেডারেল পুলিশের একজন মুখপাত্র স্টেফান সোনট্যাগ জানিয়েছেন, সম্প্রতি টিকিটে ছাড়ের কথা ঘোষণা করায় বেশি ভিড় হয়েছিল। ১৯৯৮ সালে লোয়ার স্যাক্সনিতে এসচেড-এ একটি ট্রেনটি বগিচ্যুত হয়। ঘটনায় ১০১ জনের প্রাণহানি ঘটে।