পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করছে তারা। এরপরও ইসরাইলকে সবরকম সহায়তার ঘোষণা করেছে আমেরিকা। এমন অবস্থায় মার্কিন বিদেশমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইঙ্গিত দিয়েছেন, হামাসকে সরিয়ে গাজার শাসনভার অন্য কাউকে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করছে আমেরিকা। শুক্রবার ফের ইসরাইল সফর করবেন মার্কিন বিদেশমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, যদি গাজা ভূখণ্ডে হামাসের নিয়ন্ত্রণ খর্ব করা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে ‘বিভিন্ন সম্ভাব্য সমন্বয়ে’র মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশগুলো ওই অঞ্চলের দায়িত্ব নিতে পারে।
মার্কিন সেনেটে ব্লিঙ্কেন বলেন, ফিলিস্তিনি ঘনবসতিপূর্ণ ছিটমহলটির দায়িত্বে হামাসের থাকা আর চলবে না, কিন্তু ইসরাইলও গাজা পরিচালনার দায়িত্ব নিতে চায় না। ব্লিঙ্কেনের কথায়, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের হাতেই গাজার দায়িত্বভার থাকার কথা। কিন্তু সেটি সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে তার।এরপরই বলেন, ‘যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে অস্থায়ী বন্দোবস্ত করতে হবে। সেক্ষেত্রে ওই অঞ্চলে বিভিন্ন দেশকে যুক্ত করা দরকার পড়বে। আন্তর্জাতিক এজেন্সিগুলোর সাহায্যে ওখানকার নিরাপত্তা ও প্রশাসন সামলানো যেতে পারে।’
মার্কিন বিদেশমন্ত্রীর এই বিতর্কিত কথাগুলির পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান গাজার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি গাজায় আঞ্চলিক নেতাদের সহযোগিতায় একটি নতুন নিরাপত্তাব্যবস্থার প্রয়োজন। যদি এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সে ব্যাপারে তুরস্ক দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।’ তুরস্কের মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে এরদোগান বলেন, ‘ইসরাইল মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করছে। দেশটিকে অবিলম্বে এসব বন্ধ করতে হবে। ইসরাইলি বাহিনীর এমন কর্মকাণ্ডে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো।’
এরদোগান বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করার জন্য আমাদের আলোচনা চলমান আছে। সেখানে স্থায়ী শান্তির পথ অনুসরণ করতে হবে।’ ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার জন্য পশ্চিমাদের সমালোচনায় তুর্কি নেতা বলেন, ‘পশ্চিমা বিশ্ব আবারও ব্যর্থ হয়েছে। তারা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে ফেলেছে।’