উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর: পুলিশের উপর আস্থা রয়েছে দোষীরা সব গ্রেফতার হবে বলে জানালেন জয়নগরে খুন হওয়া তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্করের বাবা। কালীপুজোর পরের দিন ভোর পাঁচটার সময় স্থানীয় একটি মসজিদে নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় দুটি বাইকে করে পাঁচ জন দুষ্কৃতিরা আসে। এরপর দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় জয়নগরের দাপুটে তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্কর। এরপর কয়েক ঘন্টার মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জয়নগরের বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের দলুয়াখাকি গ্রাম। একের পর এক বাড়িতে অগ্নিসংযোগের মতন ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ।
পুলিশের এক দুষ্কৃতিকে গ্রেফতারও করেছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ। এই ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত আনিসুর রহমান লস্করকের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর পাশাপাশি অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্তুষ্ট মৃত সাইফুদ্দিনের পরিবার। মৃত সাইফুউদ্দিনের বাবা ইলিয়াস নস্কর বলেন, ‘পুলিশ ভালো কাজ করছে। পুলিশের উপর আস্থা রয়েছে পাশাপশি সিআইডি আধিকারিকেরাও ইতিমধ্যে তদন্ত ভার নিচ্ছে। আমি চাই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক প্রশাসন।’
বামনগাছি অঞ্চলের তৃণমূলের যুব কংগ্রেসের সভাপতি মেহতাবউদ্দিন লস্কর জানান, ‘পুলিশের উপর আস্থা রয়েছে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুক। অভিযুক্তকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক প্রশাসন। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে এই আবেদন করছি প্রশাসনের কাছে। তবে এই ঘটনার পর থেকে এখনো এলাকা থমথমে। রয়েছে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন।’