পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ফের ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে ৪ মাসের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত তিনি। এবার ২০২০ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলে হস্তক্ষেপের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। ৩ আগস্ট তাকে ফেডারেল আদালতে ডাকা হয়েছে। আমেরিকার বিচার বিভাগের পক্ষে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশেষ আইনজীবী জ্যাক স্মিথ।
নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ তদন্তে সত্য বলে প্রমাণিত হলে ২০ বছরের কারাদণ্ড হবে ট্রাম্পের। অপর এক অভিযোগে বলা হয়, একজনকে সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। তদন্তে এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১০ বছরের জেল হবে তার। এরই পাশাপাশি দেশের স্পর্শকাতর তথ্য চুরি করার অভিযোগে যে তদন্ত শুরু হয়েছে, তাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।
এই মামলায় দোষ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ ২০ বছরের সাজা হবে পারে তার। এভাবে মোট ৭৮টি অভিযোগের প্রত্যেকটিতে দোষী সাব্যস্ত হলে ১০০ বছরের জন্য জেল হতে ট্রাম্পের! ট্রাম্প অবশ্য বারবারই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন। জানিয়েছেন, জো বাইডেন প্রশাসন চক্রান্ত করে তাকে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লড়াই থেকে সরাতে চাইছে।
তবে সব অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ট্রাম্পের ১০০ বছরের কারাদণ্ডের সম্ভাবনা কম। সম্প্রতি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময়ে দেশের প্রতিরক্ষা-সংক্রান্ত, পরমাণু গবেষণা-সংক্রান্ত প্রায় ১০০টি নথি নিজের ফ্লোরিডার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে ট্রাম্প বলছেন, বিচারব্যবস্থাকে হাতিয়ার করে তাকে হেনস্থা করার চেষ্টা চলছে।