পুবের কলম প্রতিবেদক, নন্দীগ্রাম: ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে সূর্যোদয় ভূমি উচ্ছেদ কমিটির উদ্যোগে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো মঞ্চ থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপির বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ করল জেলা নেতৃত্ব থেকে রাজ্য নেতৃত্বরা। বুধবার নন্দীগ্রামে গোকুলনগর করপল্লীতে ভূমি উচ্ছেদ কমিটির ডাকে শহীদ স্মরণে অনুষ্ঠানরে ডাক দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি, তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ, রাজ্য নেতৃত্ব জয়া দত্ত, দোলা সেন, শেখ সুফিয়ান সহ তৃণমূলের একঝাঁক নেতৃত্ব। এদিন মঞ্চ থেকে একের পর এক নেতৃত্বরা শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন।
মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন “ক্ষমতার ব্যবহার করে অনেকে অনেক দুর্নীতি করেছেন। আগামী এক মাসের মধ্যে লালবাতি গাড়ি থাকবে না। বিরোধী দলনেতা পদও থাকবে না”।
রাজ্য নেতৃত্ব জয়া দত্ত বলেন “অনেকে ভাবতেন বিজেপি হয়তো ক্ষমতায় চলে আসবে, নির্বাচনের আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এতবার বাংলায় এসেছেন। মোদিবাবু বুঝে গিয়েছিলেন ২০২৪ সালে ক্ষমতা দখল করতে পারে বাংলার বাঘিনী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরো কটাক্ষ করে বলেন শুভেন্দু অধিকারীর নাম নিতে আমাদের ঘৃনা লাগে। বেঈমান গাদ্দার বলে কটাক্ষ করেন তিনি। যদি লজ্জা থাকে নন্দীগ্রামে ঢুকবে না। লোডশেডিং করে গাদ্দারি করেছে জিতেছেন বলেও দাবি করা হয়। যদি ক্ষমতা থাকে লড়াইয়ের মাঠে দেখা হবে অবশ্যই দেখা হবে শুভেন্দু অধিকারী কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছি বলে তিনি জানান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি হুঁশিয়ারি দেন, দু’ মিনিট সময় লাগবে বিরোধীদের নন্দীগ্রাম থেকে এলাকাছাড়া করতে বলে তাঁর মন্তব্য।
এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন “শুভেন্দু অধিকারী শহীদদের রক্ত নিয়ে খেলেছে। শুভেন্দু অধিকারীকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে নন্দীগ্রাম থেকে বের করে দেব বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন। নন্দীগ্রামে মানুষের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হাসপাতালে টাকা নিয়ে নয়ছয় করেছেন এই প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেন “হাসপাতালে অভিযোগটি নন্দীগ্রাম ভূমি উচ্ছেদ কমিটি তুলেছেন। শিল্পনগরী হলদিয়া ডেভলপমেন্টের টাকায় নিজের নামে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। মানুষের টাকা ও সরকারি পয়সা নিজের নামে সম্পত্তি করা ঠিক হয়নি। নন্দীগ্রাম মানুষের চিকিৎসার জন্য সোনাচূড়া শহীদ বেদী সামনে একটি হাসপাতাল তৈরি করব। শুভেন্দু অধিকারীর নামে বিভিন্ন সংস্থা থেকে টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ রয়েছে।