পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : বড় জুটি গড়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্নাস লাবুশানে। দুজনই সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন।কিন্তু কাছাকাছি গিয়েও তারা পারেননি। তবে ভুল করেননি ট্রাভিস হেড। অ্যাশেজে একেবারে টি-২০ স্টাইলে খেলে গাব্বায় তুলে নিয়েনিলেন দ্রুততম সেঞ্চুরি। ব্যক্তিগত সেঞ্চুরির পাশাপাশি দলকে শক্ত পৌঁছে দিয়েছেন ভালো অবস্থানে। ওয়ার্নার-লাবুশানের অর্ধ সেঞ্চুরির পর হেডের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথেই রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ব্রিসবেনের গাব্বায় দ্বিতীয় দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৪৩ রান। তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ১৯৬ রানের। হেড অপরাজিত রয়েছেন ৯৫ বলে ১১২ রান করে।
ম্যাচের প্রথম দিন ইংল্যান্ডকে মাত্র ১৪৭ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর বৃষ্টির কারণে আর ব্যাট করতে নামতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। আজ দ্বিতীয় দিনের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল হয়নি তাদের। স্কোরবোর্ডে ১০ রান যোগ করতে না করতে ব্যক্তিগত ৩ রানে আউট হন বাঁহাতি ওপেনার মার্কাস হ্যারিস। এরপর দলের ৩০ রানের মাথায় নিশ্চিত আউটের হাত থেকে বেঁচে যায় ওয়ার্নার। কিন্তু বেন স্টোকস নো বল করায় বেঁচে যান অসি ওপেনার। পরে মার্নাস লাবুশানের সঙ্গে ১৫৬ রানের জুটি খেলেন। দলীয় ১৬৬ রানে লাবুশানে ৭৪ রান করে আউট হন। ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি স্টিভ স্মিথও (১২)। এর পর নার্ভাস নাইন্টিতে পা রেখে ওয়ার্নারের ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে ব্যক্তিগত ৯৪ রানে।
ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শূন্যরান করে ফেরেন ক্যামারুন গ্রিন। এতে ১৯৫ রানে ৫ উইকেটের দলে পরিণত হয় অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকে দলকে সাড়ে তিনশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহে নিয়ে যাওয়ার পুরো কৃতিত্ব ট্রাভিস হেডের। ৫১ বলে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। সেখান থেকে আক্রমণের ধাঁর আরও বাড়িয়ে মাত্র ৮৫ বলেই ছুঁয়ে ফেলেন কেরিয়ারের তৃতীয় ও অ্যাশেজে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। যা কি না অ্যাশেজের ইতিহাসে তৃতীয় দ্রুততম ও গাব্বায় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। উইকেটরক্ষক ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারে এবং অধিনায়ক প্যাট কামিনসের ব্যাট থেকে আসে সমান ১২ রান করে। মিচেল স্টার্ক অপরাজিত রয়েছেন ১০ রানে। ইংলিশ পেসার ওলি রবিনসন তিনটি উইকেট পান।