পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ করোনা অতিমারির সংক্রমণ আটকাতে আজ থেকে ঠিক এক বছর আগেই শুরু হয়েছিল টিকাকরণ অভিযান।১৬ জানুয়ারি ২০২১ এ প্রথম টিকাকরণ শুরু হয়, বিস্তর চড়াই-উতরাইয়ে মধ্য দিয়ে। প্রথমে টিকাকে মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিতে বেশ হোঁচট খেতে হয় কেন্দ্রকে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, যারা প্রথমসারিতে দাঁড়িয়ে করোনা নিয়ে কাজ করছেন তাদের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের প্রথম সারিতে রাখা হয়। এছাড়াও ৬০-উর্দ্ধ ও যাদের কো-মর্বিডিটির রয়েছে তারাও স্থান পায়। তবে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই বেঁকে বসেন। এমনকী স্বাস্থকর্মীরাও নারাজ হয়। এর পর আসরে নামেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টিকাকরণ নিয়ে ভয় দূর করতে বিভিন্নভাবে মানুষকে উৎসাহিত করেন প্রধানমন্ত্রী। নিজেও টিকা নেন তিনি। এর পর আসতে আসতে ভ্যাকসিন নিতে শুরু করে মানুষ। স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া মেলে।
ভারত সরকার যে লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছিল আজ সেই লক্ষ্য অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে। ঠিক এক বছর আগেই ভারত করোনার মহামারি রুখতে ১৩৩ কোটি দেশবাসীর উদ্দেশে টিকাকরণ শুরু করেছিল। এই এক বছরে টিকাকরণে যোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে ৯০ শতাংশ জনগণ টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন এবং ৬০ শতাংশ জনগণ টিকার দুটি ডোজই পেয়েছেন। সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে প্রিকশনারি ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি মাসেই স্বাস্থ্য কর্মী ও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে তাঁদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।
আজ ট্যুইট করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য জানিয়েছেন, “আজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকাকরণ অভিযানের এক বছর পূর্ণ হল।” এই সাফল্যের জন্য তিনি টুইট বার্তায় সব স্বাস্থ্যকর্মী ও বৈজ্ঞানিকদের শুভেচ্ছা জানান।
এই একবছরে মোট আটটি ভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য মান্যতা পেয়েছে। তার মধ্যে হল সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কোভিশিল্ড, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন, রাশিয়ার স্পুটনিক ভি, মডার্না, জনসন এবং জনসনের একক ডোজ ভ্যাকসিন, জাইডাস ক্যাডিলার ZyCoV-D, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কোভোভ্যাক্স এবং বায়োলজিক্যাল ই-এর কর্বেভ্যাক্স।